Site icon জনতার মশাল

“অন্তর্ধানে” বিধায়ক
মেবার কুমার জমাতিয়া!

ডেস্ক রিপোর্টার,৮জুলাই।।
রহস্যজনক অন্তর্ধানে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক মেবার কুমার জমাতিয়া। দিল্লির ত্রিপুরা ভবন কাণ্ডের পর থেকেই মেবার কুমার জমাতিয়া এক প্রকার অদৃশ্যে চলে গেছেন। তাকে দেখা যাচ্ছে না রাজনৈতিক ও সামাজিক মঞ্চে। স্বাভাবিকভাবেই জনগণের প্রশ্ন উঠছে কোথায় গেলেন আইপিএফটির নেতা তথা বিধায়ক নেবার কুমার জমাতিয়া? তিনি দিল্লি থেকে রাজ্যেও এসেছেন।তারপরও মেবার কেন নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন? তাহলে কি দিল্লির ত্রিপুরা ভবনে তার বিরুদ্ধে তোলা ভার্সিটি ছাত্রীর অভিযোগ সত্যি। যদি ঘটনার কোনো সত্যতা না থাকে তাহলে মেবার কুমার রাজ্যে আসার পরও তিনি কেন আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো বক্তব্য দেন নি? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
মেবার কুমার জমাতিয়ার সঙ্গে আইপিএফটির সুপ্রিমো এনসি দেববর্মা সম্পর্ক এখন তলানিতে। আইপিএফটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। এনসি গোষ্ঠী এখনো আইপিএফটির পতাকা ধরে রেখেছে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেয় নি। তবে অদূর ভবিষ্যতে এনসি গোষ্ঠীর নেতারা যে বিজেপিতেই শামিল হবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।কয়েকজন ইতিমধ্যেই পদ্ম বনে বাসা বেধেছেন। মেবার গোষ্ঠী অবশ্যই হাটছে বিপরীত মেরুতে। মেবার কুমার জমাতিয়া তার চলন বলনে আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি পদ্ম বনে হাঁটবেন না।বরং তার কাছে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দের প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথার আনারস বাগান। সম্প্রতি মেবার গোষ্ঠী আগাম ঘোষণা দিয়েছিল গত ২রা জুলাই মেবার কুমার সহ তার অনুগামীদের নিয়ে তিপ্রামথাতে যোগ দেবেন। সেই অনুযায়ী অবশ্যই সাজানো ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু তার আগে দিল্লি গিয়েছিলেন মেবার কুমার।এবং ত্রিপুরা ভবনে তিনি এক ভার্সিটি ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী করেন।এই অভিযোগ করেছিলো খোদ ছাত্রী। ছাত্রীর অভিযোগ মূলে দিল্লি পুলিশ মেবারকে আটক করেছিলো।জিজ্ঞাসাবাদের পর আবার ছেড়েও দিয়েছিলো।
দিল্লি ত্রিপুরা ভবনের খবর অনুযায়ী, মেবার ঘটনার একদিন পর ত্রিপুরা ভবন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।এদিনই তিনি দিল্লি থেকে সরাসরি রাজ্যে আসেন। রাজ্যে আসলেও মেবার এখনো প্রকাশ্যে আসেন নি। আসলে কি মেবার রাজ্যে এসেছেন?নাকি অন্য কোথায়ও অবস্থান করছেন? কারণ পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মেবার অনুগামীরা গত ২রা জুন আনারস বাগানে চলে যায় পাকাপাকি ভাবে। কিন্তু ছিলেন না তাদের নেতা মেবার কুমার। তাহলে তিনি কোথায়?
রাজনীতিকরা মনে করছেন, দিল্লি ত্রিপুরা ভবন কাণ্ডের পর মেবার অনেকটা ব্যাকফুটে। তিনি প্রচন্ড চাপে আছে।ঘটনার সত্যতা আছে কিনা,সেটা পরের বিষয়। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে মেবার কুমারের জনপ্রিয়তাতে আঘাত লেগেছে।এই কারণে প্রদ্যুৎ কিশোরও মেবারকে প্রকাশ্যে আনার সাহস করছে না। মেবার অনুগামীদের দাবি,তাদের নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে। ছাত্রীর অভিযোগের কোনো সারবত্তা নেই।তাই দিল্লি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে মেবার কুমারকে ছেড়ে দিয়েছে।

Exit mobile version