Site icon জনতার মশাল

উত্তর পূর্ব দিকে ধাবিত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিট্রাং’। রাজ্যে পৌঁছলো অতিরিক্ত এনডিআরএফ টিম।


ডেস্ক রিপোর্টার, ২৪অক্টোবর।।
   পশ্চিম মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্য ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে শেষ ৬ ঘণ্টায় ৩১ কিলোমিটার বেগে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ধাবিত হচ্ছে সিট্রাং’।  আগামী ১২ঘণ্টার মধ্যে সিট্রাং আরো শক্তি নিয়ে অগ্রসর হতে পারে উত্তর পূর্বের দিকে।
  


এরপর ২৫ অক্টোবর ভোরের দিকে তিনকোনা দ্বীপ এবং বরিশালের নিকটবর্তী সন্দ্বীপের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার খুব সম্ভাবনা রয়েছে।আবহাওয়া দপ্তরের সর্ব শেষ বুলেটিন থেকে এই খবর জানা যায়।


সিট্রাং মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্যে।ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছলো অতিরিক্ত এনডিআরএফ টিম। গোটা রাজ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বনধ স্কুল,কলেজ। যান চলাচলেও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
          


তবে এখন পর্যন্ত  ঘূর্ণিঝড় ‘সিট্রাং’র প্রভাবে কোনো ক্ষয়- ক্ষতির খবর নেই। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গাতে ইতোমধ্যে জল জমতে শুরু করেছে।


প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জল দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য পাম্পগুলিকে ২৪ঘন্টা সচল রাখতে।


আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৩ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের ধলাই,গোমতি,খোয়াই,উত্তর ত্রিপুরা, সিপাহিজালা,দক্ষিণ ত্রিপুরা,উনকোটি,পশ্চিম ত্রিপুরার বেশিরভাগ অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷



রবিবার রাতে থেকে এখনও পর্যন্ত সিট্রাং আতঙ্কে ভুগছে সাব্রুম মহকুমার মানুষ। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে থাকা বঙ্গোপসাগর থেকে সাব্রুমের দূরত্ব মাত্র ৬৯ কিলোমিটার। খবর অনুযায়ী,বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের সিট্রাংয়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে সাব্রুমেও।


এর জন্য সাব্রুম মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে  বিভিন্ন এলাকায় মাইক যোগে মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। গোটা মহকুমার রাস্তা ঘাট শুনশান।



দীপাবলিতে আতঙ্ক গ্রাস করছে স্থানীয় মানুষকে। বন্ধ হাট বাজার, দোকান পাট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হলেই সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি জানানোর জন্য।


Exit mobile version