Site icon জনতার মশাল

এখনো কেন গঠিত হয় নি টিএমসি’র রাজ্য কমিটি? প্রশ্ন দলের বিক্ষুব্ধ কর্মীদের?

ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ডিসেম্বর।।

রাজ্যে সাঙ্গ হয়েছে পুর ও নগর ভোট। ইতিমধ্যেই শাসক দল বিজেপি ২৩-র ভোট যুদ্ধের জন্য নিজেদের ঘর গুছানোর কাজ শুরু করেছে।কিন্তু সদ্য মাথাচাড়া দেওয়া তৃণমূল কংগ্রেস এখনো তাদের পূর্ণাঙ্গ রাজ্য কমিটি গঠন করতে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দর মহলের খবর ছিলো, বুধবার প্রদেশ তৃণমূলের সভানেত্রী হিসাবে ঘোষণা করা হবে সুস্মিতা দেবের নাম।কিন্তু তা হয়নি। অর্থাৎ দল সেই পথে হাটে নি। আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন তো দূরস্থ।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস এখানো প্রদেশ কমিটি গঠন করতে না পারায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ দলের একাংশ কর্মী-সমর্থক।তাদের দাবি, ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে হলে এখনই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন দরকার।তাছাড়া জেলা ও মহকুমা কমিটি গঠনও অবশ্যক। অন্যথায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হবে না।
তৃণমূলের একাংশ কর্মী-সমর্থকদের বক্তব্য, শুধুমাত্র আগরতলাতে বসে ত্রিপুরা জয় সম্ভব নয়।বুথ স্তর থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত নেই কোনো কমিটি। শুধুমাত্র সুবল ভৌমিককে সামনে রেখে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।কিন্তু এই কমিটির সদস্যদের রাজনৈতিক যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে দলের কর্মীরা।
ঘাসফুলের কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতৃত্বের শরীরী ভাষা দেখে মনে হয়,তারা শুধুমাত্র মাত্র ৬শতাংশ ভোটের জন্য রাজ্যে এসেছে। হয়তোবা আরো এক-দুই শতাংশ ভোট বেশিও পেতে পারে।কিন্তু ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের “আই-ওয়াশ” করছে বঙ্গ ও প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ মমতা-অভিষেক যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চাইতেন তাহলে আরও আগেই প্রদেশ কমিটি গঠনের কাজ সেরে ফেলতো।এবং পুরানো, ভালো নিষ্ঠাবান কর্মীদের নেতৃত্ব দলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা দিতে পারতো। বুথ থেকে মহকুমা-জেলা স্তরে গঠন করতে পারতো কমিটি। অবাক করার বিষয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব কিছুই করেনি।তারা মন্থর গতিতে এগিয়ে চলছে।বুথ থেকে জেলা-মহকুমা স্তরে সংগঠন বৃদ্ধি করতে না পারলে মমতা-অভিষেকের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।

Exit mobile version