Site icon জনতার মশাল

কংগ্রেসকে পাশে রেখেই আরএসএস-বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দিয়েছে সিপিআইএমের ২৩তম পার্টি কংগ্রেস।

ডেস্ক রিপোর্টার,১০এপ্রিল।।
২৩তম পার্টি কংগ্রেসে আগের রাজনৈতিক লাইন-ই ধরে রাখলো সিপিআইএম। হলো না বড় কোনো পরিবর্তন।
বিজেপি-আরএসএসের মোকাবিলায় বাম, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বৃহত্তম ঐক্যের লক্ষ্য সামনে রেখেই চলার বার্তা দিয়েছে সদ্য সমাপ্ত পার্টি কংগ্রেস। এই সংক্রান্ত বিষয়ে পার্টি কংগ্রেসে পাশ হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিবেদনও।পার্টি কংগ্রেসে পাশ হওয়া রাজনৈতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বাড়াতে হবে সিপিআইএমের নিজস্ব শক্তি। জোরালো করতে হবে গোটা দেশের বাম ঐক্যকে। ঘটাতে হবে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক শক্তির সমাহার। অর্থাৎ গোটা দেশে বিজেপি-আরএসএস বিরোধী শক্তিকে একজোট করার ইঙ্গিতই দিয়েছে সিপিআইএম।

২৩তম পার্টি কংগ্রেসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, সর্ব ভারতীয় স্তরে সব বিজেপি বিরোধী মানুষের সমর্থন আদায় করতে হবে।তাদেরকে নিয়ে গোটা দেশে গড়ে তুলতে হবে বিজেপি বিরোধী আন্দোলন। তবে পশ্চিম বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যবহৃত হবে বিজেপি’র সূত্রই। পার্টি কংগ্রেসে কেরল নেতৃত্ব দাবি করেছিলো তারা কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় যাবে না। কেরল নেতৃত্বের বক্তব্যেরও স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি।ভাষণে ইয়েচুরি বলেছেন, কংগ্রেসকে নিয়ে চলতে হবে, না কি বাদ দিয়ে চলতে হবে, এই তর্ক যুক্তিহীন। কারণ সিপিআইএম বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দেবে, তাতে যারা একমত হবে থাকবে, বাকিরা থাকবে না।এটাই স্বাভাবিক। তার জন্য কোনো রাজনৈতিক দলকেই জারিজুরি করা হবে না।

পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রতিবেদন অনুযায়ীই চলবে ত্রিপুরার সিপিআইএম। তারাও বিজেপি বিরোধী সব মানুষকে এককাট্টা করে চলার অঙ্গীকার নেবে। কংগ্রেস ইস্যুতে রাজ্য সিপিআইএমের কোনো স্পষ্টীকরণ পাওয়া যায়নি।

তবে সর্বভারতীয় স্তরে যদি কংগ্রেস-সিপিআইএম রাজনীতির এক কক্ষ পথে চলে আসে তাহলে নিশ্চিত ভাবতে হবে মানিক-জিতেনকে।অন্যদিকে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সিপিআইএমকে পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছে। রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেস-সিপিআইএমের মধ্যে আগামী দিনে কি সমীকরণ হয় এটাই এখন দেখার বিষয়।

Exit mobile version