Site icon জনতার মশাল

কাল রাজীবের উত্তর জেলা সফর। প্রস্তুতি তুঙ্গে।

ধর্মনগর ডেস্ক, ৪সেপ্টেম্বর।।
          বহু জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সভাপতি হলেন পুরানো বিজেপি রাজীব ভট্টাচার্য। কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব রাজীব ভট্টাচার্যের নাম ঘোষনার পর কিছুটা হলেও পরিবর্তেনের কান্ডারী পুরানো কর্মীদের মনে আশার সঞ্চার হয়।কেননা,রাজ্যে পালা বদলের পর নব্য বিজেপির আস্ফালনে পুরানো কর্মীদের তেমন মর্যাদাই দেওয়া হয়নি। কিন্তু রাজীব বাবু সভাপতি হবার পর পুরনোদের নিয়েই সাংগঠনিক কাজ করবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন। অবশ্য ইতিমধ্যে দাদা দিদির অনুগামী জেলা থেকে মন্ডল স্তরীয় কর্মীদের মধ্যে তীব্র উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।কখন না নতুন সভাপতির ছাঁটাই অভিযানে তাদের পদ না হারাতে হয়। ইতিমধ্যে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব পাবার পর প্রথমবারের মতো সোমবার  দুদিনের উত্তর জেলা সফরে আসছেন প্রদেশ সভাপতি।তাই জেলা স্তরীয় নেতৃত্বদের অলিন্দে কম্পন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরের ছয়টি মন্ডলের একাংশ মন্ডল সভাপতিদের সাংগঠনিক কাজ কর্মে সন্তুষ্ট নয় প্রদেশ।এমনকি জেলা ও মন্ডল এবং জনপ্রতিনিধি দের বেশ কিছু ব্যক্তির নামে কমিশন বানিজ্য সহ নানা দূর্নীতি উঠে এসেছে। একটি অংশ সংগঠন মজবুত না করে কমিশন বানিজ্যে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। তাদের ভেতরে অবশ্য কাশী ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে সভাপতির সফর নিয়ে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে,পাঁচ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় সেপ্টেম্বর উত্তর জেলার ধর্মনগর সহ অনান্য এলাকায় ধাপে ধাপে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন প্রদেশ সভাপতি। সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন দলের স্হিতিও। দলীয় সূত্রে আরো খবর, সাংগঠনিক কাজে দূর্বলতা বা অনিয়ম সভাপতির নজরে আসলে শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে জেলা ও মন্ডল নেতৃত্ব সহ জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে প্রদেশ সভাপতির উত্তর জেলা সফরকে সামনে রেখে শনিবার উত্তর জেলার জেলা সভাধিপতির কনফারেন্স হলে এক প্রস্ততি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, উত্তর ত্রিপুরা জেলার সভানেত্রী তথা যুবরাজ নগর বিধানসভার বিধায়িকা মলিনা দেবনাথ, ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, সহ সভাপতি অমিত রক্ষিত, তাপস মজুমদার,ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ তথা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন ,উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস সহ ছয়টি মন্ডলের সভাপতি ও জেলার পদাধিকারীও জন প্রতিনিধিরা

Exit mobile version