Site icon জনতার মশাল

চাকমারা বিদেশি
মানিক-প্রদ্যুতের ষড়যন্ত্র(!)
অভিযোগ বিধায়ক শম্ভুলালের

*অভিজিৎ ঘোষ*
—————————-

“চাকমা সম্প্রদায় ইস্যুতে বিরোধী দল নেতা মানিক সরকারের মন্তব্য সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ির জন্য যথেষ্ট। অনেকটাই কাটা ঘায়ে নুন ছিটানোর মতো অবস্থা।” —- বক্তা রাজ্য বিধানসভার সদস্য তথা বিজেপি’র বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমা।
বামফ্রন্ট দীর্ঘ সময় রাজ্য ক্ষমতায় ছিলো।কিন্তু কখনো চাকমারা “বিদেশি” এই সংক্রান্ত আওয়াজ উঠেনি।তাহলে আজ কেন সামনে এসেছে এই বিতর্কিত উস্কানি মূলক বিষয়টি।প্রশ্ন বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমার।
বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমা সরাসরি বলেছেন, এই ঘটনার পেছনে বড়সড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এতদিন কুচক্রীরা জাতি-উপজাতির মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করেছিলো।এখন জনজাতি-জনজাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
বিধায়ক শম্ভু চাকমা রাজ্যের ইতিহাস টেনে এনে বলেন, “চাকমারা এই রাজ্যের ভূমিপুত্র।রাজ্যের অন্যান্য জনজাতিদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক চাকমাদের।চাকমারা তাদের সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ। বাঙালিদের সঙ্গেও বৈবাহিক সম্পর্ক আছে চাকমাদের।চাকমারা যদি বাংলাদেশি হয়ে থাকতো তাহলে কেন,এতো দিন এই বিষয়টি সামনে আসেনি।বাস্তব অর্থে পুরো ঘটনা ভিত্তিহীন।
সরাসরি না বললেও বিজেপি’র বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মনকে। শম্ভু’র ভাষায়, “পইলা জাতি উলু পার্টি”—এই স্লোগান তুলেছিলেন প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন। দশটি জনজাতি সম্প্রদায়কে নিয়ে ‘তিপ্রাসা হদা’ গঠিত হয়েছে।কিন্তু তাতে নেই চাকমারা। তাহলে পরিষ্কার কারা গোটা ষড়যন্ত্র’র সঙ্গে জড়িত।
ছামনুর বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমা বলেন,বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের জামানায় গোটা রাজ্য এখন শান্ত।বিরাজ করছে শান্তির পরিবেশ।কিন্তু তা সহ্য হচ্ছে না একাংশ রাজনীতিকদের।তারা আবার রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা ১৯৮০-র জাতির দাঙ্গার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাইছে।
বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার সম্পর্কে বিজেপি’র তরুণ বিধায়কের বক্তব্য, মানিক সরকার বেমামান কথা বলেছেন।তিনি রাজ্যের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাইছেন।তবে তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
ঠারে-ঠুরে তরুণ বিধায়ক বুঝিয়ে দেন,চাকমাদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে সিপিআইএম ও তিপ্রামথা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টার পাশাপাশি রাজ্যের অশান্তির পরিবেশ কায়েম করতে চাইছে।চাকমা সম্প্রদায় সহ রাজ্যের সুশীল সমাজ তা কোনো ভাবেই মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেন তারা বিধায়ক।

Exit mobile version