Site icon জনতার মশাল

চোরাচালানের বধ্যভূমি ত্রিপুরা – মিজোরাম সীমান্ত। ৮টি কচ্ছপ সহ গ্রেফতার দুই রিয়াং যুবক।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৩মার্চ।।
           পাচার বাণিজ্যের বধ্যভূমি ত্রিপুরা – মিজোরাম সীমান্ত। কাঞ্চনপুর মহকুমার ত্রিপুরা – মিজোরাম সীমান্তে নিয়মিত ভাবেই চলে চোরা চালান।পাচার চক্রের এই নিটোল জাল ভাঙতে ব্যর্থ পুলিশ। তবে কখনো কখনো তারা সফলতাও পায়। মঙ্গলবার রাতে ত্রিপুরা – মিজোরাম সীমান্তে চোরা চালানের সময় আটটি কচ্ছপ আটক করে কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ। সঙ্গে গ্রেফতার করে দুই পাচারকারীকে। স্থানীয় ব্রু পাড়ার পুলিশী নাকা পয়েন্টের সামনে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


উদ্ধারকৃত কচ্ছপ গুলির মধ্যে পাঁচটি সুরক্ষিত প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ। তিনটি সাধারণ মানের।পুলিশের দাবি সামুদ্রিক কচ্ছপ গুলি বাজার মূল্য অনেক বেশি।তাছাড়া এই প্রজাতির কচ্ছপ প্রায় বিলুপ্তির পথে। ধৃত পাচারকারীরা জানিয়েছে, তারা মিজোরাম থেকে কচ্ছপ গুলিকে নিয়ে এসেছে ত্রিপুরায়। সেখান থেকে রাজ্য ও বহিঃ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করা হবে।


ধৃত দুই চোরাচালানকারী ব্রু শরণার্থী ক্যাম্পে বাসিন্দা। শরণার্থী ক্যাম্পগুলি বারবার অপরাধের মৃগয়া ক্ষেত্র। এই ক্যাম্প গুলি থেকেই এক সময়ে জঙ্গিরা তাদের ব্লু প্রিন্ট রচনা করতো। বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্প গুলি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ। কাঞ্চনপুরে ব্রু শরণার্থী ক্যাম্পগুলিতে নিয়মিত বসে নেশার আড়ৎ। তার পাশাপাশি অতিরিক্ত হিসাবে চলে বাঙালি বিরোধী ষড়যন্ত্র। এটাই কাঞ্চনপুরের রিয়াং শরণার্থী ক্যাম্প গুলির ঐতিহ্য। বলছেন, ওয়াকিবহাল মহল।


Exit mobile version