Site icon জনতার মশাল

জয়ের হ্যাট্রিকের হাতছানি বিজেপি’র প্রার্থী শম্পার।প্রচারে খোদ দলের প্রদেশ সভাপতি।

ডেস্ক রিপোর্টার,১৮নভেম্বর।।
আগরতলা পুর নিগমের হেভিওয়েট আসন গুলির মধ্যে অন্যতম ৪০নম্বর ওয়ার্ড।এই আসনটিতে লড়াই হবে চতুর্মুখী।তবে কংগ্রেস খুব বেশি ফ্যাক্টর হবে।মূল লড়াইয়ের অলিন্দে থাকবে শাসক দল বিজেপি,তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএম।
রাজনীতিকরা বলছেন,লড়াইয়ের মূল অলিন্দে তিন দল থাকলেও ফেভারিট শাসক দল।অর্থাৎ এই ওয়ার্ড থেকে শাসক দলের প্রার্থী শম্পা সরকার চৌধুরী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের থেকে শত যোজন এগিয়ে।রাজনীতিকদের ব্যাখ্যা, ভর বাম জমানাতেও এই আসনটি ছিলো কংগ্রেসের।দাঁত বসাতে পারেনি এক সময়ের দুর্দন্ড প্রতাপ বাম নেতৃত্ব।এক কুম্ভ হয়ে বামেদের সঙ্গে লড়াই করে আসনটি কংগ্রেসের দখলে রেখেছিলেন বিজেপি’র প্রার্থী শম্পা সরকার চৌধুরীর স্বামী তথা স্থানীয় দাপুটে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত চৌধুরী।তিনি ৪০নম্বর ওয়ার্ড থেকে পর পর দুই বার কাউন্সিলার হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে এই আসনটি “মহিলা” সংরক্ষিত হয়ে যায়। জয়ন্ত চৌধুরী তাতেও হাল ছাড়েন নি।তখন কংগ্রেসের টিকিটে এই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন জয়ন্ত চৌধুরীর স্ত্রী শম্পা সরকার চৌধুরী।তিনি পর পর দুইবার কংগ্রেসের টিকিটে এই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন।২০১৮-তে রাজ্যের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কাউন্সিলার শম্পা সরকার চৌধুরী বিজেপিতে যোগ দেন। কাউন্সিলর হিসাবে এলাকাতে শম্পার জনপ্রিয়তা দেখে শাসক দল বিজেপি তাকেই প্রার্থী করে।আর সেই সঙ্গে পুর নিগম নির্বাচনে জয়ের হ্যাট্রিকের হাত-ছানি চলে আসে শম্পা সরকার চৌধুরীর কাছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য,এবারের নিগম ভোটে ৪০নম্বর ওয়ার্ড থেকে শম্পা সরকার চৌধুরীর জয় প্রায় নিশ্চিত।কারণ এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সংগীতা ব্যানার্জীর তেমন কোনো জনপ্রিয়তা নেই।এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর নেই কোনো জন সংযোগ। ভোট সংগ্রহের ক্ষেত্রে তৃণমূল প্রার্থীর কোনো ব্যক্তিগত করিশমা থাকবে না।বিজেপি’র বিরুদ্ধে থাকা প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়ার জুড়ে কিছু ভোট পাবেন তিনি।এবং এই ভোট দিয়ে শম্পা সরকার চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস। দ্বিতীয়ত সিপিআইএম প্রার্থীও কোনো ধরনের বেগ দিতে পারবে না বিজেপি’র প্রার্থীকে।কেননা এবার সিপিআইএম প্রার্থী করেছে রুমা ভট্টাচার্যকে।৪০নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও রুমা ভট্টাচার্য ৩৯নম্বরের ভোটার।এলাকাতে তেমন কোনো গ্রহণ যোগ্যতা নেই। তাছাড়া সিপিআইএম’র ভরা যৌবনে এই ওয়ার্ডে কোনো দাঁত বসাতে পারে নি বাম প্রার্থীরা।এখন সেই দিন অতীত।স্বাভাবিক ভাবেই সিপিআইএম প্রার্থী কোনো ফ্যাক্টর হবে না বলেই মনে করছে বাসিন্দারা। স্থানীয় ভোটারদের বক্তব্য ৪০নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপি’র প্রার্থী শম্পা সরকার চৌধুরীর জয়ের হ্যাট্রিক শুধু সময়ের অপেক্ষা।
বুধবার এই ওয়ার্ডে শম্পা সরকার চৌধুরীর হয়ে প্রচার করেন খোদ প্রদেশ বিজেপি’র সভাপতি মানিক সাহা। প্রার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন বুথে যান প্রদেশ সভাপতি।কথা বলেন মানুষের সঙ্গে। ভোটাররাও প্রদেশ সভাপতিকে নিরাশ করেন নি।তারা জানিয়ে দেন বরাবরের মতোই এবারও শম্পা সরকার চৌধুরীর পাশেই থাকবেন তারা।

Exit mobile version