Site icon জনতার মশাল

তৃণমূল – সিপিআইএম’র
“পাইপ লাইন”ঋতব্রত

ডেস্ক রিপোর্টার,৩০জুলাই
তৃণমূল কংগ্রেসের মরা গাঙে জল আনতে শুধু কংগ্রেস নেতৃত্ব নয়,এবার হাত মিলিয়েছে সিপিআইএম।অর্থাৎ কংগ্রেস-সিপিআইএম একজোট হয়েই তৃণমূলের মরা গাঙে তুলবে জলের ঢেউ।রচনা হয়েছে মূল স্ক্রিপ্ট।এমন খবর ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে।
কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক সহ অন্যান্য নেতাদের তৃণমূলে যোগদানের ক্ষেত্রে “পাইপ লাইনে”র ভূমিকা নিয়েছেন তৃণমূলের চাণক্য মুকুল রায়।দিল্লিতে বসেই তিনি রচনা করেছেন “শতরঞ্জে”র স্ক্রিপ্ট।তার রেজাল্ট পাওয়া গিয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
শুধু কি কংগ্রেসকে নিয়েই খেলবে তৃণমূল? না।খেলা হবে সিপিআইএমকে নিয়েই।তার জন্য কলকাতা থেকে ব্রাত্য বসু সিপিআইএম’র পাইপ লাইনকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।তিনি হলেন প্রাক্তন কমিউনিস্ট নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জী। সিপিআইএম’র প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা
ঋতব্রত ব্যানার্জী রাজ্য সিপিআইএম’র সংসারে কালো বিড়ালের ভূমিকা পালন করতে চলেছেন।সিপিআইএম’র ছয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন ঋতব্রত।তারা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।অর্থাৎ ঋতব্রত’র হাত ধরে রাজ্যের ছয় বাম বিধায়ক যোগ দেবেন ঘাসফুল শিবিরে। এই মুহূর্তে তৃণমূল শিবির বাম বিধায়কদের নাম গোপন রাখছে। উপযুক্ত সময়েই সামনে চলে আসবেন বাম বিধায়করা।
তৃণমূলের এই সমীকরণ থেকে স্পস্ট আটঘাট বেঁধেই এবার রাজ্য রাজনীতিতে মাথা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।১৯৯৮সাল থেকে ত্রিপুরাতে তৃণমূলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু বারবার হুচুট খাচ্ছিলেন।এবার কংগ্রেস-সিপিআইএম ও বিজেপি ভেঙে ত্রিপুরাতে “মা-মাটি-মানুষে’র দলকে দাঁড় করাতে চাইছেন।তৃণমূল নেতৃত্ব ভাবছেন এটাই ত্রিপুরার জন্য তাদের ‘পিক টাইম’।এই কারণেই সর্বশক্তি নিয়ে তৃণমূল ঝাঁপিয়ে পড়তে শুরু করেছে রাজ্যের শহর থেকে সমতল ও গ্রাম থেকে পাহাড়।

Exit mobile version