Site icon জনতার মশাল

নিশি ঘুমে আচ্ছন্ন বন দপ্তর।
বন্য হাতির আক্রমণে নাভিশ্বাস গিরিবাসীদের।

তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,১৩ডিসেম্বর।।
ফের বন্য দাঁতাল হাতির উন্মত্ত তান্ডব । ঘটনা তেলিয়ামুড়ায় । বন্য দাঁতাল হাতির উন্মত্ত তাণ্ডবে বরাবরের মতোই প্রাণ ওষ্ঠাগত তেলিয়ামুড়ার উত্তর মহারানী থেকে শুরু করে কৃষ্ণপুর, উত্তর কৃষ্ণপুর, শ্রী-রামখরা, অফিসটিলা সহ গোটা গ্রামীণ এলাকার মানুষের।বন্য দাঁতাল হাতির উন্মত্ত তান্ডবের রেশ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে তেলিয়ামুড়ার বন-দপ্তরের আধিকারিকেরা জড় ভারতের ভূমিকা পালন করছেন। এমনটাই দাবি সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামবাসীদের।
রবিবার গভীর রাতে তেলিয়ামুড়া বন-দপ্তরের অন্তর্গত উত্তর মহারানী’র শুভরাম চৌধুরী পাড়ায় স্থানীয় জনজাতি মানুষের বাড়ি-ঘরে একদল বন্য দাঁতাল হাতি আচমকা হামলা করে। হাতির উন্মত্ত তাণ্ডবে নিমেষের মধ্যেই ধুলিস্যাৎ হয়ে পড়ে জনজাতি পরিবারের ৩টি বসত ঘর । শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি ও দৌড়ঝাঁপ । লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাব পত্রাদি ।
ক্ষতিগ্রস্ত জনজাতি পরিবারের দাবি, বন্য হস্তীর তাণ্ডবে তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ক্ষতিগ্রস্থগ্রামবাসীরা জানিয়েছেন,নিত্যদিনের মতোই রবিবার রাতে মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের শুভরাম চৌধুরী পাড়ার বসবাসরত গ্রামবাসীরা কাজ সেরে ঘরে ফেরে নিদ্রামুখী হয়ে পড়ে ‌। কিন্তু হঠাৎ রাত আনুমানিক ২টা নাগাদ একদল বন্য দাঁতাল হাতি স্থানীয় শুভরাম চৌধুরী পাড়ার জনজাতি পরিবারের বাড়ি ঘরে ঢুকে রকেটের বেগে দফায় দফায় তাণ্ডব চালায় । হাতির দল তছনছ করে দেয় গ্রামবাসীদের মাথা গোঁজার বসত ঘর।
হতচকিত হয়ে দরিদ্র গ্রামবাসীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে এবং আত্মরক্ষার তাগিদে দৌঁড়ঝাপ করে আশ্রয় নেয় নিরাপদস্থানে।পরবর্তীতে গ্রামবাসীরা এক জোট হয়ে আগুনের বুম্বা ও পটকা বাজি হাতে নিয়ে বেরিয়ে আসে।এবং পটকা বাজি ফোটাতে থাকে।কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে।হাতির তান্ডবে ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় গ্রামবাসী সন্তোষ দেববর্মা, অরুণ কুমার দেববর্মা, রবীন্দ্র দেববর্মা’র বসত ঘর । কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো ঘটনার সময়ে তেলিয়ামুড়া বন দপ্তরের “অডিএস”র কোনো লোকজন অকুস্থলে ছুটে যায়নি। অভিযোগ গ্রামবাসীদের।তবে তেলিয়ামুড়া বন দপ্তরের বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ নতুন নয়।
বিগত দিনেও লক্ষ্য করলে দেখা গেছে, বন্য হাতির আক্রমণে অনেক সাধারণ গরিব কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো।হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিলো পথচারীদের। তবু হেলদোল নেই তেলিয়ামুড়া বন প্রশাসনের। তারা পারছেনা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে। কিন্তু বছরের পর বছর তেলিয়ামুড়ার গ্রামীন এলাকার লোকজন নিজেদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে রাত জেগে ডিউটি করছেন।তথাপি দপ্তরের নেই কোনো সহযোগিতা। অভিযোগ গ্রামবাসীদের। সোমবার সকালে বন দপ্তরের আধিকারিকরা ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলি ঘুরে দেখেন।এবং সরকারি ভাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। বন আধিকারিকরা তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটা পালন করতে পারেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Exit mobile version