Site icon জনতার মশাল

পৌষের রাতে নেশার আগুনে
জ্বলছে ডিম সাগর পার্ক! শীত ঘুমে পুলিশ!


ডেস্ক রিপোর্টার,৬ জানুয়ারী ।।
        ভর পৌষ মাস। রাতের পৌষে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ। শীতে হাড়হিম হয়ে যাওয়ায় উপক্রম! মানুষ ঘরের দরজা – জানালা বন্ধ করে থাকছে। ক্ষণে ক্ষণেই ঠান্ডা হচ্ছে হাত – পা। শীতের পরশ পেতে নগরের মানুষ সন্ধান করে আগুনের। অর্থাৎ আগুন পোহানোর মধ্য দিয়ে বাড়িয়ে নেয় শরীরের উষ্ণতা।আবহাওয়ার এই ছেলেখেলার মাঝেই রাত ভর খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে এক দঙ্গল যুবক আগুনের মেলা বসিয়ে দেয় “সাগর” পাড়ে।
       


আর এখানে বসেই আগুনে শীতের আমেজ পাওয়ার পাশাপাশি নেশার সামগ্রীগুলিকেও রাতে ঝালিয়ে নেয় অল্প বয়সী যুবকরা! এই ঘটনা নিত্য দিনের। ঘটনাস্থল রাজধানীর উপকণ্ঠে ডিম সাগর পার্ক।


এক দঙ্গল যুবক রাতের আধারে পার্কে আগুণ জ্বালিয়ে পৌষের শীতের আমেজ নিচ্ছে। তাতে অবশ্যই কাউর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু প্রতি রাতে আগুন জ্বালিয়ে শীতের আমেজ নেওয়ার পেছনে নিশ্চয় রয়েছে যথেষ্ট কারণ। সঙ্গে অতিরিক্ত হিসাবে হল্লা – চিৎকার। কেন? কোথায় রাতের আগরতলার পুলিশ? এই প্রশ্নের কি উওর দিতে পারবেন রাজধানী পুলিশের  দণ্ড মুণ্ডের কর্তারা? নাকি তারাও মুখ লুকিয়ে রাখবেন?


শহরের পুলিশের নিরাপত্তাকে ভেদ করে ডিম সাগর হয়ে উঠেছে নেশা কারবারীদের বধ্য ভূমি। শীতের বেলা বিরাতেই নেশা কারবারিরা দখল নেয় গোটা পার্ক। সঙ্গে নেশা সেবনকারীরাও। রাত ভর সমস্ত রকমের নেশা দ্রব্যের আদান প্রদান চলে। শীতের রাতে কারবারিরা গোটা পার্কে ধাপে ধাপে জ্বালিয়ে রাখে আগুন। তারা নেয় শীতের আমেজ। কিন্তু তাদের এই সমস্ত কার্যকলাপে দুর্গন্ধময় হয়ে উঠে এলাকা। আতকে উঠে আশপাশ এলাকার লোকজন। বারং বার স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানিয়েও কোনো সাড়া পায় না। পুলিশ পার্কের ভিতরে পা মাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বোধই করে নি।
   


ডিম সাগর পার্কের চারপাশে বাড়ি ঘর। ঘন বসতি পূর্ণ। নেশা কারবারিদের জ্বালানো আগুন থেকে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড়সর বিপদ। ঝলসে উঠতে পারে পার্ক লাগোয়া বাড়িঘর। তখন এর দায় নেবে কে? প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় লোকজন। ডিম সাগর পার্কে প্রতিদিন নানান অসামাজিক কার্যকলাপ চললেও ঠোটু জগন্নাথের ভূমিকায় পুলিশ। রাজ্যের মন্ত্রী – সাধারন প্রশাসনের আমলা সহ এসপি, এএসপি ও এসডিপিওরা এই রাস্তার বুক চিড়ে প্রতিনিয়ত চলাফেরা করে থাকেন। তারপরও বারবার তাদের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে ডিম সাগর পার্ক থেকে। ছি: ছি:।

Exit mobile version