Site icon জনতার মশাল

প্রদেশ সভাপতির চেয়ারে
বহাল থাকবেন ডা:মানিক সাহা।

ডেস্ক রিপোর্টার,২১মার্চ।।
প্রদেশ বিজেপি’র সভাপতি ডা:মানিক সাহা রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়ার পর পরই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় কে হবেন বিজেপি’র পরবর্তী “রাজ্য সভাপতি?” বছর ঘুরলেই ভোট।স্বাভাবিক ভাবেই দলের নেতা-কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। দলের নেতা-কর্মীদের সামনে কে হবেন পথ প্রদর্শক(মুখ্যমন্ত্রী ব্যতীত)?
রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে
প্রদেশ সভাপতি বদলের কোনো চিন্তা ভাবনা নেই দলের। ডা:মানিক সাহাকে সামনে রেখেই দল এগিয়ে যেতে চাইছে। অন্তত আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত ডা:মানিক সাহাকেই সভাপতি পদে রেখে দেওয়া হতে পারে।তবে কিছুটা দিন দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দলের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্য সভার সাংসদ এক ব্যক্তি দুইটি পদে থাকতে পারবেন কিনা? বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য এতে কোনো সমস্যা নেই।কারণ একটি হচ্ছে সাংবিধানিক পোস্ট,অন্যটি দলীয় পোস্ট।স্বাভাবিক ভাবেই ডা:মানিক সাহাকে সামনে রেখেই রাজ্য বিজেপি ২৩-র নির্বাচন করতে পারে।তাতে আইনি জটিলতা নেই।উদাহরন স্বরূপ বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও প্রায় দুই বছর রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ডা:মানিক সাহার ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হবে না।
গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, সভাপতি ডা:মানিক সাহার উপর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের পুর্ণ আস্থা রয়েছে। অতি সম্প্রতি কালে দলের কিছু স্বার্থনেশি নেতা ডা:মানিক সাহাকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল।কিন্তু তারা সফল হয়নি।কারণ ডা: মানিক সাহার প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বাস রয়েছে।তিনি একজন স্বজন ভদ্রলোক। তাঁর সময়েই দল পুর ও নগর ভোটে বিরোধীদের হোয়াইটওয়াশ করে দিয়েছে।
গত মাস খানেক আগেও ডা:মানিক সাহাকে টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে প্রার্থী করার পরিকল্পনা ছিলো।কিন্তু শেষ সময়ে দলের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক তাদের এই চিন্তা ভাবনা থেকে সরে আসে।এবং ডা:মানিক সাহাকে রাজ্য সভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।সেই অনুযায়ী রাজ্য সভার প্রার্থী হয়েছেন তিনি। রাজ্য সভার নির্বাচনে মানিক সাহার জয় নিশ্চিত।বিরোধী দল সিপিআইএম প্রার্থী দিলেও তা ধোপে টিকবে না।কারণ রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের কাছে ভোট রয়েছে ৪০টি।যদি বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মার ভোট দেন এবং যদি তার ভোট বিজেপি’র দিকে আসে তাহলে ভোট সংখ্যা হবে ৪১টি।তবে অসুস্থ এন সি দেববর্মা ভোট দিতে আসবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সব মিলিয়ে বিজেপি’র প্রার্থীর জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।অন্যদিকে বামেদের ভোট মাত্র ১৫টি।যদি বিজেপি’র দুই বিক্ষুব্ধ বিধায়ক বুর্বমোহন ত্রিপুরা ও দিবা চন্দ্র রাংখল ভোট দান থেকে বিরতও থাকেন তাহলেও কোনো সমস্যা হবে না শাসক দলের প্রার্থীর।হাসতে হাসতেই জয় পাবেন বিজেপি’র প্রার্থী ডা:মানিক সাহা।

Exit mobile version