Site icon জনতার মশাল

ফের “জনতার মশাল”র সত্যের দৃষ্টান্ত। খবরের প্রভাবে নির্মাণস্থল থেকে কুচক্রীরা খুলে নিলো বিদ্যুৎ ব্যবহারের হুক লাইন।

গন্ডাছড়া ডেস্ক,৪এপ্রিল।।
‘জনতার মশাল’র প্রকাশিত সংবাদের জের গন্ডাছড়া বাজারের সেড নির্মাণস্থলে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের হুক লাইন খুলে নিলো নির্মাণ সংস্থার লোকজন। সংবাদের জেরে নীরব নিস্তব্দ হয়ে পড়েছে নির্মাণস্থল। রাজ্যের জনপ্রিয় “নিউজ পোর্টাল” “জনতার মশাল”-এ সংবাদ প্রকাশিত হতেই মঙ্গলবার গোটা গন্ডাছড়া মহকুমায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রকাশিত সংবাদটি সাধারণ মানুষ সহ বুদ্ধিজীবি মহলে নাড়া দিলেও নাড়া পড়েনি উক্ত নির্মাণ কাজের আইও ও সুপারভাইজিং অফিসার সহ দপ্তরের কর্মকর্তাদের। ফলে উক্ত নির্মাণ কাজের আই ও, সুপারভাইজিং অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারটি এগ্রি রেগুলেটেড মার্কেট হওয়ার সুবাদে গন্ডাছড়া মহকুমা বাজারের পরিচালনা করে থাকেন গন্ডাছড়া কৃষি মহকুমা দপ্তর।

গন্ডাছড়া মহকুমা বাজারের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ব্যবসায়ীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্য কৃষি দপ্তরের অনুরোধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব নাবার্ডের ফান্ড থেকে গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারে নতুন আধুনিকমানেরমার্কেট স্টল নির্মাণের জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন। টেন্ডারের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের বরাত পায় মহকুমার বহিরাগত এক ঠিকাদার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস নির্মাণ কাজে হাত লাগায় নির্মাণ সংস্থা। নির্মাণ কাজ শুরু থেকেই অসুদোপায় চালিয়ে আসছিলেন নির্মাণ সংস্থা এমন অভিযোগ এলাকাবাসীদের। অভিযোগ পলিযুক্ত বালি, আনক্লাস ইট, নামমাত্র সিমেন্ট ব্যবহার করছে নির্মাণ সংস্থা। তাছাড়া অবৈধভাবে বিদ্যুতের খুটি থেকে হুক লাইনের মাধ্যমে চুরি করে নির্মাণ স্থলে লেবার শেড, গোটা কমপ্লেক্সে ফ্লাড লাইট বিনা বাঁধায় চালিয়ে আসছিলো। বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার “জনতার মশাল”-র প্রতিনিধি গন্ডাছড়া মহকুমা সদরের সবজি বাজারের সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় -এ নির্মিয়মান মার্কেট স্টল কমপ্লেক্সে গেলে টের পেয়ে নির্মাণ স্থল থেকে পালিয়ে যান ওই নির্মাণ কাজের সাইড ম্যানেজার। গিয়ে দেখা যায় দুই তিন শ্রমিক দিয়ে চলছে নির্মানের হেড মিস্ত্রির কাজ। নির্মাণ কাজে যেসমস্ত ইট ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি আনক্লাস ইট হিসাবে সকলের পরিচিত। ব্যবহৃত বালিগুলি ষাট শতাংশই পলিমাটি যুক্ত। কাজের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ওই নির্মাণ কাজের আই ও, সুপারভাইজিং অফিসার সহ কৃষি দপ্তরের কাউকেই কাজের গোড়ায় দেখা যায়নি।বেশ বড়সর এই নির্মাণ কাজের মোটা অংকের বরাদ্দ পেয়ে সারমেয়দের বেশ কামড়াকামড়ি চলছে গন্ডাছড়ায়। ধীরে ধীরে প্রকাশিত হবে অভিযুক্তদের নাম। এই তালিকা থেকে বাদ নেই উক্ত নির্মাণ কাজের আই ও, সুপারভাইজিং অফিসারদের। তারাও ঠিকাদার বা নির্মাণ সংস্থার কাছ থেকে মোটা অংকের হারগোড় চিবিয়ে খেয়ে গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন। ফলে গোল্লায় যাক নির্মাণ কাজ, আদ্যশ্রাদ্ধ হোক সরকারি কোষাগারের কোটি কোটি টাকার। এমন একটি সংবাদ মঙ্গলবার আমাদের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হওয়ার পর চুরি করে হুক লাইনের তার খুলে নেয় নির্মাণ সংস্থার লোকজন। এক্ষেত্রে “জনতার মশাল” আবারও সত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো রাজ্যের মানুষের সামনে।

Exit mobile version