Site icon জনতার মশাল

বন্য হাতি ইস্যুতে জনতার
তোপের মুখে রাজ্যের মন্ত্রী।


তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,১৯জানুয়ারি।।
           হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষোভের মুখে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। মন্ত্রী বিকাশের নির্বাচনী কেন্দ্রে বন্য হাতির তান্ডব থেকে পরিত্রান পাওয়ার দাবিতে
সরব জনতা। তারা বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। এবং আবরোধ করে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক। ঘটনা শুক্রবার দুপুরে কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চাকমাঘাটস্থিত মহকুমা শাসক কার্যালয় সংলগ্ন জাতীয় সড়কে। তখনই আন্দোলনস্থলের সড়ক ধরে
আসছিলেন রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী তথা কৃষ্ণপুরের  বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা। উত্তেজিত জনতা মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে।শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার কথায় আশ্বস্ত হয়ে পথ অবরোধ প্রত্যাহার করে গ্রামবাসীরা। পথ অবরোধের ফলে দীর্ঘ সময় ধরে জাতীয় সড়কে বন্ধ ছিলো যান চলাচল। সমস্যা পোহাতে হয়েছে পথ চলতি মানুষকে।


উত্তেজিত গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, প্রায় এক দশকেরও বেশী সময় ধরে কৃষ্ণপুর বিধানসভার কিছু কিছু অঞ্চলের মানুষ বন্য হাতির আস্ফালনে  অসহ্য হয়ে উঠেছে।চামপ্লাই, কৃষ্ণপুর, ভূমিহীন কলোনী, বড়লুঙ্গা, দাওছড়া, ওয়াক্সিমাইল, মহারানীপুর, ডিএম কলোনি, কপালীবস্তি, উত্তর মহারানী সহ বিভিন্ন এলাকায় বিচরণ করছে দাঁতাল বন্য হাতির দল।  দিন-রাত মানুষকে গুনতে হয় আতঙ্কের প্রহর। বন্য হাতি মানুষকে খুন সহ বাড়ি ঘর ভাঙচুর। শস্য ক্ষেত নষ্ট করছে নিয়ম করেই। রীতিমত লোকালয়ে এসে বন্য হাতি ভেঙ্গে দিচ্ছে গরীব গ্রামবাসীদের অর্থ নৈতিক মেরুদণ্ড। তারা সরকার থেকে পাচ্ছেন না ক্ষতি পূরণ।


তাছাড়া বন্য হাতি আটকানোর জন্য বন দপ্তর নানান প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু একটি প্রকল্পও সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হয় নি। দপ্তরের লোকজন সহ কিছু ধান্দাবাজ ঠিকাদার ও কলমচিরা মিলেমিশে প্রকল্পগুলিকে অঙ্কুরেই বিনাশ করে দিয়েছে।
  অতীতে আঠারোমুড়ার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল  ছিল ছোট বড় সবুজ গাছ গাছালিতে ঢাকা। তখন বন্য প্রাণীদের খাদ্যের অভাব ছিল না। কিন্তু এখন দিন বদলে গিয়েছে। তীব্র খাদ্য সঙ্কটে আছে বন্য প্রাণীরা। হাতিদের অবস্থাও একই। স্বাভাবিক কারণেই খাদ্যের তাড়নায় বন্য হাতির দল নিয়মিত ভাবেই প্রবেশ করছে লোকালয়ে। এখন হাতির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে শেষ পর্যন্ত মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে।

Exit mobile version