Site icon জনতার মশাল

বাঙালিদের ফের বিদেশি (WANSA) তকমা।”RED ZONE”- এ হামলার নীল নকশা।


ডেস্ক রিপোর্টার, ২৭ জানুয়ারি।।
     “WANSEA GET OUT, RED ZONE”-রাতের আধারে রাজপথে এই হুমকির বার্তা লিখে রাজ্যের পাহাড় থেকে বাঙালি উচ্ছেদের ব্লু প্রিন্ট- র জানান দিলো জনজাতি সম্প্রদায়ের দুষ্কৃতীরা। জনজাতিদের গুন্ডা বাহিনী বাঙালি গ্রামবাসীদের ১৪টি বাড়ি – ঘরে করে ব্যাপক ভাঙচুর। ঘটনা শুক্রবার রাতে। ঘটনাস্থল তেলিয়ামুড়া থানাধীন কলই পাড়া। এই ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা গাছের লগ ফেলে সড়ক অবরোধ করে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।


তেলিয়ামুড়া আর.ডি ব্লক এলাকার উত্তর ব্রহ্ম ছাড়ার কলই পাড়াতে শুক্রবার শীতের রাতে একদল জনজাতি সম্প্রদায়ের দুষ্কৃতী হানা দেয় স্থানীয় কলই পাড়াতে। তারা গ্রামে প্রবেশ করেই মূল সড়কে
“WANSEA GET OUT, RED ZONE” – এই কথাটি লিখে।তারপর কলই পাড়ার ১৪টি বাড়িতে নির্বিচারে হামলা চালায়। এখানে থাকা “WANSEA” শব্দটি ককবরক ভাষায় লিখা হয়েছে। WANSEA শব্দের অর্থ হলো বিদেশী। জনজাতিরা এই রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিদের WANSEA বা বিদেশি বলে আখ্যায়িত করে থাকে।

।।গ্রামবাসীদের পথ অবরোধ।।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বাঙালি গ্রামবাসিরা রাস্তায় নামে।শনিবার সকাল ৯ টা থেকে ব্রহ্মছাড়া-কাঁকড়াছড়া সড়কে গাছের লগ ফেলে সড়ক অবরোধ করে তারা।ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের বক্তব্য, তিপ্রামথারনেতা প্রদ্যুৎ কিশোরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা একটি পোস্টের রেশ ধরেই এই ঘটনা সংঘটিত করেছে জনজাতি সম্প্রদায়ের দুষ্কৃতীরা।


স্থানীয়দের কথায়, প্রদ্যুৎ তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রদ্যুৎ এক ভয়ঙ্কর খেলায় মেতে উঠেছেন। তিনি চাইছেন ৮০- র দাঙ্গার পুনরাবৃত্তি।
শেষ পর্যন্ত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা।তিনি গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এবং শনিবার রাত আটটার মধ্যে কলই পাড়াতে এসপিও ক্যাম্প বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মন্ত্রী। তবে সবটাই মোবাইলে।

।।মোবাইলে মন্ত্রীর আশ্বাস বাণী শুনছেন অসহায় বাঙালি।।

মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে বেলা ১১টায় ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার পর পাহাড়ে রাতের আধারে পুলিশী নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।


কেন না, রাতের কলই পাড়াতে দুষ্কৃতীরা একের পর এক বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর করলেও কোথায় ছিলো পুলিশ ? গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কলই পাড়াতে শুক্রবার রাতে ছিলো না কোনো পুলিশি টহলের ব্যবস্থা।

Exit mobile version