Site icon জনতার মশাল

বেঁচে থাকার লড়াই:”মন্দা” গ্রাস পরিযায়ী ব্যবসায়ীদের।

তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,১৪ডিসেম্বর।।

বেঁচে থাকার জন্য চাই খাদ্য, তার জন্যে প্রয়োজন হয় অর্থ। কিন্তু অর্থ দেবে কে?
অর্থ উপার্জনের জন্য চাই রোজগার, সেই রোজগার হোক ছোট কিংবা বড়। অনেকেই রোজগারের জন্য নিজের ভিটেমাটি ত্যাগ করে বহিঃরাজ্যে পাড়ি দেয়, সামান্য জীবন জীবিকা নির্বাহ করার তাগিদে।
বিশেষ করে শীতের মরশুমে যখন রোজগারের কোনো পথ খোলা থাকে না,তখন পরিযায়ী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেদের শিল্পকলার পসরা সাজিয়ে বসে বহিঃরাজ্যের বিভিন্ন হাট-বাজারে। উদ্দেশ্য “রোজগার”।এমনই চিত্র দেখা যায় রাজ্যের খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়ার বিভিন্ন হাট-বাজারে। পরিযায়ী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেদের শিল্পকলাকে তুলে ধরেছে লোহার বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে। তেলিয়ামুড়াতে আশা পরিযায়ী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানালেন,”এবছর তারা লাভের মুখ দেখছেন না। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরের ব্যবসা মন্দা”।
পরিযায়ী ব্যবসায়ীদের কথায়, তারা এসেছেন মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। বেশ কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন তারা।মূলত লোহার দা, কুড়ুল, ক্ষন্তি, ছুরি সহ নানান সামগ্রী তারা তৈরি করে।এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে থাকে।
ব্যবসায়ী ভীমরাও সিং জানিয়েছেন,রুটি-রুজি জন্য তারা রাজ্যে এসেছেন। এক সময় লোহার তৈরি জিনিসের চহিদা ছিলো।এখন চাহিদা কমছে দিন দিন।তাই তারা এখন দিশেহারা। মূলত শীত মরশুমে তাদের নিজ রাজ্যে বিশেষ কোনো কাজ থাকেনা।এই কারণে তারা ভাঙা-চুরা লোহা ক্রয় করে লোহার নানান সামগ্রী তৈরি করে। এই সামগ্রী নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারা ঘুরে বেড়ায়।তাদের তৈরি লোহার জিনিসের দামও তুলনায় কম।২০০-২৫০টাকার মধ্যে।কিন্তু এই লোহার সামগ্রীর ব্যবহার এখন অনেক কমে যাচ্ছে বলেই আতঙ্কের প্রহর গুনছে পরিযায়ী ব্যবসায়ীরা।

Exit mobile version