ডেস্ক রিপোর্টার,১৬আগস্ট:
দেশীয় রাজনীতিতে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চমক।এবার সরাসরি আঘাত হানলো কংগ্রেসের ঘরে। কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ তথা মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সুস্মিতা দেবকে নিজের ঝুলিতে নিয়ে নিলেন মমতা। সোমবার সকালেই অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব তাঁর ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে।এদিনই তিনি বিমানে চলে আসেন কলকাতায়। কলকাতায় এসে সরাসরি চলে যান তৃনমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীর বাড়িতে।সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টার অধিক সময় অভিষেকের সঙ্গে আলোচনা হয় সুস্মিতার।সেখান থেকে বেরিয়ে অভিষেক-সুস্মিতা চলে যায় নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরবারে। মমতার আশীর্বাদ নিয়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ শুরু করার বার্তা দিয়েছেন সুস্মিতা দেব।
রাজনীতিকরা বলছেন,মূলত অসমের রাজনীতির বাজার ধরতেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ মোহন দেবের তনয়া সুস্মিতা দেবকে দলে টেনে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অসমে কংগ্রেসের করুন অবস্থা।এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিকল্প হয়ে উঠতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।তার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন ” নয়া মুখ”। অসম রাজনীতিতে সন্তোষ তনয়া সুস্মিতাই হবে এখন মমতার তুরুপের তাস।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, পাশাপাশি ত্রিপুরাতে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারে সুস্মিতাকে কাজে লাগবেন মমতা।কারণ ত্রিপুরার রাজনীতিতে সুস্মিতার প্রয়াত পিতা সন্তোষ মোহন দেব একজন পরিচিতমুখ।সন্তোষ মোহন দেব ত্রিপুরার লোকসভার পশ্চিম আসন থেকে জয়ী হয়েই প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। কংগ্রেস রাজনীতির সুবাদে সুস্মিতার ত্রিপুরা সম্পর্কে ধ্যান-জ্ঞান রয়েছে।স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্মিতা দেবকে অসম-ত্রিপুরা দুই জায়গাতেই ব্যবহার করতে পারবেন।তাই আগামী দিনে ত্রিপুরার রাজনীতিতেও এখন থেকে সরাসরি দেখা যাবে সন্তোষ মোহনের তনয়া সুস্মিতাকে।