Site icon জনতার মশাল

মা – র হাতে খুন তিন শিশু।

ডেস্ক রিপোর্টার,৯ এপ্রিল।।
  বিভৎস, নৃশংসতা। জন্মধাত্রী মা নিজেই খুন করেছে তার তিন সন্তানকে। সঙ্গে খুনের চেষ্টা করেছে নিজের ছোট বোনকেও। বাড়িকে কসাই খানা করে মা নিজেও আত্ম হননের চেষ্টা করেছেন।কিন্তু তিনি বেঁচে যায়।আছেন হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে। এই নৃশংস ঘটনার বধ্য ভূমি অসমের করিমগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর থানা এলাকায়।
  রামকৃষ্ণপুরের প্রত্যন্ত ডলুগাঙ। এই গ্রামের বাসিন্দা শরীফ উদ্দিন। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে তার সোনার সংসার। তাদের সঙ্গেই সংসারে আছে ছোট শ্যালিকা। শরীফ পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সংসারে টান পুরেন থাকলেও পরিবার নিয়ে ভালো ছিলেন শরীফ।


গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকালে শরীফ তার দোকানে চলে যান। সকাল ৯ টা নাগাদ শরীফের সংসারে নেমে এসে ঘুট ঘুট অন্ধকার। আচমকা শরীফের স্ত্রী শাহেনা আফরোজা রুদ্র মূর্তি ধারণ করে। হাতে তুলে নেয় ধারালো অস্ত্র রাম – দা। দা হাতে নিয়ে আফরোজা তার হিতাহিত জ্ঞান ভুলে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের তিন শিশু সন্তানের উপর।প্রথমেই আফরোজা তার বড় মেয়েকে দা দিয়ে আঘাত করে। মায়ের দায়ের আঘাতে বাড়ির উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটে পড়ে ছয় বছরের কন্যা সন্তান।এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই তার দুই ছেলেকেও দা দিয়ে আঘাত করে।তাদের একজনের বয়স চার।অপরজনের বয়স তিন। এই ঘটনা দেখে চিৎকার করে এগিয়ে আসে তার বোন। সন্তানের পর নিজের বোনকে রেহায় দেয় নি আফরোজা। বোনকেও দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। শেষ পর্যন্ত হাতে থাকা দা দিয়ে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে।


ততক্ষনে আফরোজার এই ঘটনার খবর পৌঁছে যায় স্বামী শরীফ উদ্দিনের কাছে। শরীফ পুলিশ নিয়ে বাড়িতে আসেন। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ খুনি মা আফরোজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় আটক করে।এবং তিন ফুটফুটে শিশুকে উদ্ধার করে রামকৃষ্ণ পুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তিন শিশুকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।


হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আফরোজা ও তার বোনকে। বোনের শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়।জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শরীফ উদ্দিন তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে রামকৃষ্ণ পুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তাদারতিকেই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তিন সন্তানের খুনের দায়ে অভিযুক্ত মা শাহেনা আফরোজা।

Exit mobile version