Site icon জনতার মশাল

রইস্যাবাড়ি সীমান্তের কাঁটাতার
ভেঙে রাস্তা, অসহায় বিএসএফ।

গন্ডাছড়া ডেস্ক,২০অক্টোবর।।

অশনিসংকেত। সীমান্তে ভারতের বনাঞ্চল ধংস করে ফেলছে বাংলাদেশের বনদস্যুরা। চিত্রটা গন্ডাছড়া মহকুমার রইস্যাবাড়ি সংলগ্ন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।এই অঞ্চলের সীমান্ত বেড়া কেটে ভারত ভূখণ্ডের বিস্তীর্ন বনাঞ্চলের মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বনদস্যুরা। কিন্তু সব দেখে শুনেও নীরব ভূমিকা পালন করেছে সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ জওয়ানরা। এই অভিযোগ করেন, রাইমাভ্যালী তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ললিত চাকমার।তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ১৬৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর খামখেয়ালিপনার জন্য বিদেশি বনদস্যুরা এপারে এসে বন ধ্বংস করছে নিয়মিত।ভেঙে দিয়েছে সীমান্ত বেড়া।সারাসারি ওপার সীমান্ত থেকে গাড়ি প্রবেশ করে এপার সীমান্তে।রাতের আঁধারে গাছ কেটে গাড়িতে করে ফের ওপারে ওপারে গা-ঢাকা পাচারকারীরা।
তৃণমূল নেতা ললিত চাকমার বক্তব্য,মহকুমার রইস্যাবাড়ি সংলগ্ন এক নম্বর ডাইক থেকে আট নম্বর ডাইক পর্যন্ত বিস্তীর্ন অঞ্চলই ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে কাটাতারের বেড়া রয়েছে।কিন্তু এই কাটা তারের বেড়া কেটে গাড়ী যাওয়ার মতো রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। এর দায় এড়াতে পারবে না গন্ডাছড়া মহকুমার বন দপ্তরের অধিকারীকরাও। বাস্তব অর্থে বিএসএফ-বন দপ্তর ও বনদস্যুরা একজোট হয়েই মেতে উঠেছে বন ধ্বংসের খেলায়। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ত্রিবেনি সঙ্গমের চাইরা দেশ তথা রাজ্যের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ভেঙে দেওয়া সীমান্ত বেড়া দিয়ে যে কোনো সময় ওপার সীমান্ত থেকে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।কারণ গোটা অঞ্চল জঙ্গিদের জন্য অতি স্পর্শকাতর।এই অঞ্চল দিয়ে বহু অপহরণের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের কাছে তৃণমূল নেতা ললিত চাকমার বক্তব্য, রাজ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনে ত্রিপুরা পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এই সীমান্ত এলাকায় ভেঙে দেওয়া কাঁটাতারের বেড়া মেরামতি করা আবশ্যক।নয়তো নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি রাজ্যের বনজ সম্পদ চলে যাচ্ছে বাংলাদেশিদের গ্রাসে।

Exit mobile version