Site icon জনতার মশাল

রাজনৈতিক সন্ন্যাসে মানিক।
জোট সমীকরণে হতাশ মফস্বর।


ডেস্ক রিপোর্টার,২৬জানুয়ারি।।
               অবশেষে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার।তিনি ২৩র মহাযুদ্ধের লড়াইয়ের ময়দান থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়াই করবেন না।দল তাকে অব্যাহতি দিয়েছে।বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা ঘোষণা দিয়েছে সিপিআইএম নেতৃত্ব।তবে দলের এই লড়াইয়ে পাশে থাকবেন তিনি।জানিয়েছেন রাজ্যের বামফ্রন্ট কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ কর। একই সঙ্গে নির্বাচনী লড়াই থেকে দল অব্যাহতি দিয়েছে বিশালগড়ের বিধায়ক ভানু লাল সাহাকেও।তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ভাবে অসুস্থ।একই অবস্থা দক্ষিণের এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা,বিধায়ক তথা উপ বিরোধী দল নেতা বাদল চৌধুরীর।তিনি দূরে থাকবেন নির্বাচনী লড়াই থেকে। প্রার্থীর তালিকায় ঠাই পেলেন না বক্সনগর কেন্দ্রের বিধায়ক সহীদ চৌধুরী। চন্ডিগড়ের বিধায়ক তপন চক্রবর্তীও নিজেকে নির্বাচনী লড়াই থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন।


কমলা সাগর কেন্দ্রের বিধায়ক নারায়ণ চৌধুরীকে এবার দেখা যাবে না ভোটের লড়াইয়ে।তাকে দল অব্যাহতি দিয়েছে। জোলাই বাড়ী কেন্দ্রের বিধায়ক যশবীর ত্রিপুরাকেও দেখা যাবে না লড়াইয়ের ময়দানে।তাকেও দল টিকিট দেয় নি। তারা প্রত্যেকে বয়সের ভারে নুয়ে গিয়েছে।তাদের পরিবর্তে দল এনেছে নতুন তরুণ মুখ।
তবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে তরুণ নেতা তথা কৈলাসহরের বিধায়ক মফস্বর আলী তার আসনটি হারিয়েছেন।তাকে দল টিকিট দেয় নি।কৈলাসহর আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয় কংগ্রেসের জন্য।এই আসন থেকে লড়াই করবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা।স্বাভাবিক ভাবে কৈলাসহরের বাম কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। মফস্বর আলী ছিলেন স্ট্যান্ডিং বিধায়ক। এই কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারদের সংখ্যা অনেক বেশি।তারা ফ্যাক্টরও বটে।এই কারণেই সংখ্যালঘু ভোটাররা বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী বীরজিত সিনহাকে পুরোপুরি সমর্থন করবে কিনা তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাম রাজনীতির অন্দরে।
        টানা কুড়ি বছরের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে দল প্রার্থীর তালিকায় স্থান দেবে না,এটা প্রায় নিশ্চিত ছিলো। মানিক সরকারকে টিকিট না দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বামেদের মূল মুখ হচ্ছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীকে সামনে রেখেই ২৩ র ভোট যুদ্ধে লড়াই করবে বামেরা।জিতেন্দ্র চৌধুরী বামেদের হারানো মসনদ ফিরিয়ে দিতে পারবেন কিনা তা বলবে সময়েই। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকটা দিন।।

Exit mobile version