Site icon জনতার মশাল

রাজ্যেও সমকামী প্রেম।
যুবতীর সিঁথিতে যুবতীর সিঁদুর।

ডেস্ক রিপোর্টার,১৫ এপ্রিল।।
            রাজ্যেও সমকামী প্রেম।শেষ পরিণতি বিয়েতে। আদালতে গিয়ে আইন মেনে কোর্ট ম্যারেজ।তারপর সামাজিক রীতি অনুযায়ী মন্দিরে বিয়ে।  নতুন স্বপ্ন নিয়ে সুখের সংসার পেতেছেন দুই যুবতী।এই বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকলো বিশালগড় মহকুমার মধুপুর।সমকামী প্রেম থেকে বিয়ের
ঘটনা সম্ভবত এটাই রাজ্যে প্রথম।
      রাজ্যের মধুপুর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা যুবতী তারনা।তার সঙ্গে বিশালগড়ের মেয়ে দিশার  সাক্ষাৎ হয়েছিলো কিছুদিন পূর্বে । প্রথমে দুইজনের মধ্যে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব। তারপর এই বন্ধুত্ব গড়ায় সম্পর্কে। যার পোশাকি নাম “সমকামী”। শেষ পর্যন্ত তারণা ও দিশা সিদ্ধান্ত নেন তারা এক সঙ্গে থাকবেন। থাবেন স্বামী – স্ত্রীর ভূমিকায়। বাঁধবেন নতুন সংসার।


এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতেই তারনা – দিশা বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নেন।সম্প্রতি দুইজনেই আদালতে গিয়ে আইন মোতাবেক করেন কোর্ট ম্যারেজ। এর পর তারা পার্শ্ববর্তী একটি কালী মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন। স্বামীর ভূমিকায় থাকা তারনা তার নববধূর সাজে সজ্জিত স্ত্রী দিশার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন।


দুই যুবতী তারনা ও দিশার  এই অভূতপূর্ব কান্ড দেখে হতবাক তাদের পরিবারের লোকজন। আতকে উঠেছেন পাড়া – প্রতিবেশী। কিন্তু তারা নাছুর বাঁধা। উভয়েই জীবন কাটাবে একে অপরের সঙ্গে।


তারনা ও দিশা জানিয়ে দিয়েছেন,” “সমাজ তাদের বিয়েকে মান্যতা দিক বা না – ই দিক। তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। তারা একসঙ্গে স্বামী স্ত্রী হয়ে থাকার জন্য সংকল্প নিয়েছে।”


শেষ পর্যন্ত সমাজের রাক্ষস রুপীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বামী তারনার পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়।বৈশাখ মাসেই তারনার বাড়িতে আনুষ্ঠানিক ভাবে হবে বিয়ের সামাজিক অনুষ্ঠান। দুইজনেই এখন হাতে হাত ধরে বেরিয়ে আসেন বাড়ি – ঘর থেকে।ঘুরছেন চুটিয়ে। কিন্তু মানুষ তাদের দেখলেই শুরু করে দেয় হাসির রোল। এই গুলিকে তারা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে নারাজ। তাদের কথায়, “দেশের সর্বোচ্চ আদালত সমকামীকে বৈধতা দিয়েছে। তাই সমালোচকদের মুখে ঝামা মেজে দিতে চাইছেন দুই সমকামী পার্টনার তারনা ও দিশা।

Exit mobile version