Site icon জনতার মশাল

রাজ্যে আসছেন আপ’র
উত্তর-পূর্বের ইনচার্জ রাজেশ শর্মা।

ডেস্ক রিপোর্টার,১০মে।।
২৩-র বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য রাজনীতিতে মাথা চাড়া দিতে চাইছে অরবিন্দ
কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। ইতিমধ্যে তারা রাজ্যের বিভিন্ন অংশে কাজ শুরু করে দিয়েছে। পৌঁছে যাচ্ছে আম জনতার ঘরে।আবার তৃণমুল কংগ্রেসের কায়দায় ভাঙছে কংগ্রেসকেও।গত কয়েকদিন আগে রাজ্য কংগ্রেসের আইটি সেলের এক নেতা দিল্লিতে গিয়ে কেজরিওয়ালের হাত ধরে আপে যোগ দিয়েছিলেন।পাহাড়ি অঞ্চলেও আপ কাজ শুরু করে দিয়েছে।
প্রদেশ আপ নেতৃত্বের বক্তব্য, ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে ৬০টি আসনে প্রার্থী দেবে আপ। এই সংক্রান্ত বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।তাই রাজ্য রাজনীতির জমিতে চাষাবাদে নেমে পড়েছে আপের ভলান্টিয়ারা
প্রদেশ আপ নেতৃত্বের বক্তব্য অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই রাজ্যে আসবেন আপের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা রাজেশ শর্মা।তিনি রাজ্যে এসে দলের পূর্ণাঙ্গ প্রদেশ কমিটি গঠন করবেন।বতর্মানে পুরানো কমিটি রয়েছে। এই কমিটিকে ভেঙে দিয়ে করা হবে নতুন কমিটি।আপের প্রধান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নির্দেশেই রাজ্যে আসছেন রাজেশ শর্মা।
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব জয়ের পর অন্যান্য রাজ্যেও ডানা মেলতে শুরু করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে আসন পেয়েছে আপ। উত্তর-পূর্বের রাজ্য আসামে পুর ভোটেও খাতা খুলেছে আপ। প্রায় শতাধিক আসনে বিজেপি’র লড়াই হয়েছে আপের। স্বাভাবিক ভাবেই ত্রিপুরা নিয়েও নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে আপ নেতৃত্ব। রাজ্যের পুর ও নগর ভোটে মাত্র তিন মাসে ২৩শতাংশ ভোট পেয়েছিল
স্বাভাবিক ভাবেই আপও মনে করছে তারাও জম্পেশ লড়াই দিলে সাফল্য আসবে।এক সময় রাজ্যে আপের সংগঠন ছিলো।কিন্তু আপের পূর্বতন সভাপতি সলিল সাহার আকাল মৃত্যুর কারণে থমকে গিয়েছিলো আপের গোটা সংগঠন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে আপ লড়াই করেছিলো দুটি আসন।থেকে। পেয়েছিল ১২হাজার ভোট। ততকালীন আপের এই ভোট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।এরপর আপ নিজেদের সংগঠন বাড়াতে পারেনি।তার মধ্যে বিজেপি চলে এসেছিল পুরো শক্তি নিয়ে।আর তাতেই সাইড বেঞ্চে চলে গিয়েছিল আপ। এখন ফের নতুন করে চেষ্টা শুরু করেছে কেজরিওয়ালের দল।

Exit mobile version