Site icon জনতার মশাল

রাজ্যে করোনার সংক্রমণের জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সফর: জিতেন্দ্র চৌধুরী।

ডেস্ক রিপোর্টার,১৬জানুয়ারি।।
“প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরই রাজ্যে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ।এমন কি পরিস্থিতি হলো করোনা আবহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্য আনতে হলো?”–বক্তা সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।রবিবার সিপিআইএম’র রাজ্য সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সিপিআইএমের অন্যান্য শরিক দলের নেতৃত্ব।
জিতেন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার এদিন বামফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।বামেদের পক্ষ থেকে একটি স্মারক লিপিও তুলে দেওয়া হয়েছে। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসার আগেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছিলো।তারপরও প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে এনে বাড়ানো হলো করোনার সংক্রমণ।অর্থাৎ কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো হয়েছে করোনার বিস্তার।
কমিউনিস্ট নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোভিড ইস্যুতে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয় বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে। সিপিআইএমের অন্যান্য শরিক দলের নেতৃত্ব সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, শুধুমাত্র আগরতলা রেল স্টেশনে যাত্রীদের কোভিড টেস্ট করা হয়।কিন্তু ধর্মনগর, কুমারঘাট, আমবাসা স্টেশনে কোভিড টেস্টের কোনো ব্যবস্থা নেই।সংশ্লিষ্ট স্টেশনগুলিতে রেল থেকে নেমে যাওয়া যাত্রীরা রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ছে।তাদের মধ্যে যারা আক্রান্ত রোগীদের থেকে বিস্তার ঘটছে করোনার। বাম নেতৃত্বের কাছ থেকে এই সমস্ত কথা শুনার পর মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কথা বলেন রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে। এবং এই সমস্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
এই জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের প্রশংসা করেন সাংবাদিক বৈঠকে বাম নেতৃত্ব।
সাংবাদিক বৈঠকের বাম নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যে প্রতিদিন নূন্যতম ১৫হাজার করোনা টেস্ট করার দাবি তুলেন। একসঙ্গে ১৫হাজার টেস্ট করার ব্যবস্থা রয়েছে রাজ্যে বাম নেতাদের একথা জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

করোনো আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া লোকজনের পরিবারকে ১০লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি করে।কোভিড আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাদের পরিবারকে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী প্রদানের দাবিও তুলে বামফ্রন্ট। বাম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, আইএলএসের করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা স্থির করে দেওয়া অবশ্যক।

Exit mobile version