Site icon জনতার মশাল

লজ্জা,লজ্জা, লজ্জা।
গোটা দেশের সংবাদ মাধ্যম কি বধির!

ডেস্ক রিপোর্টার,৮এপ্রিল।।
লজ্জা, লজ্জা,লজ্জা। দেশের সংবাদ জগতের লজ্জা। অথচ গোটা দেশ জুড়ে সংবাদ মহলে তেমন কোনো জায়গা পায়নি দেশের বিরলতম ঘটনা।
মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের মধ্যপ্রদেশে অর্ধনগ্ন হতে হলো সাংবাদিকদের। তাও আবার থানার মধ্যে। রাষ্ট্রীয় গুন্ডা ‘পুলিশে’র সামনে। নির্দেশ ছিলো মধ্য প্রদেশের শাসক দল বিজেপি’র বাহুবলী বিধায়ক কেদার নাথ শুক্লার।

মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান

মধ্যপ্রদেশের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, বিজেপি’র বাহুবলী বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লার দুর্নীতি নিয়ে খরব সম্প্রচার করেছিলেন সাংবাদিকরা। এই বাহুবলী বিধায়কের তাতে গাত্র দহন শুরু হয়। ক্ষোভে বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা থানায় মামলা করেন। এবং করেন ক্ষমতার অপব্যবহার।

বাহুবলী বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশকে নির্দেশ দেন সাংবাদিকদের থানার মধ্যে অর্ধনগ্ন করতে। বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লার দিব্যবাণী শুনে থানা পুলিশ “প্রভুর” কথা রাখতে যা যা করা যায়, তাই করেছে।
অবাক করার মতো ঘটনা মধ্যপ্রদেশের সিডি থানার এই ঘটনা জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে খুব বেশি জায়গা পায়নি। দেশের তাবর সাংবাদিক সংগঠনগুলিও যেন মুখে কুলুপ এটে রেখেছে। সাংবাদিকরা অন্যান্য ঘটনা নিয়ে যেভাবে সরব হয়েছিলেন, এই ঘটনার ক্ষেত্রে কিন্তু তেমন কিছু দেখা যায়নি বলেই মনে করছে তথ্যবিজ্ঞ মহল।

অভিযুক্ত বাহুবলী বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা

রাজ্যের সাংবাদিকরাও এর দায় এড়াতে পারবেন না। মধ্যপ্রদেশের সিডি থানার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করছে সংবাদ জগতের লোকজন।মনে রাখতে হবে রাজ্যের দুই সাংবাদিক শান্তনু-সুদীপের খুনের পর গোটা দেশের সংবাদ জগৎ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।তাই মধ্যপ্রদেশের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের সংবাদ মাধ্যম সহ সংবাদ জগতের লোকজনের আওয়াজ তোলা আবশ্যক বলেই মনে করছে খোদ রাজ্য রাজনীতিকরাও।

Exit mobile version