Site icon জনতার মশাল

শেষ আশাও বিলীন
চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের

ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ আগস্ট:

চাকরি পুনরায় ফিরে পেতে ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে সেই আবেদনে রায় দিতে গিয়ে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকার তাদের প্রসঙ্গে যে নীতি নিয়েছে সেই নীতিকেই মেনে চলতে হবে। সোমবার উচ্চ আদালত ১০৩২৩-র চাকুরিচ্যুতদের পুনরায় নিয়োগ করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রায় প্রদান করে। উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিন্দম লোধ রায় দিতে গিয়ে বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের উপর অন্য কোনো আদালত রায় দিতে পারেনা। তার জন্য রাজ্য সরকারও কোনো নিয়োগনীতি না মেনে তাদেরকে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশ দিতে পারবে না।
নিয়োগনীতি না মেনে যে কোন রাজ্য সরকার তাদের নিয়োগ করলে তা হবে সংবিধান বিরোধী কাজ বলে গণ্য হবে।
উল্লেখ্য ১০৩২৩ এর ৩ জন শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ সাহা, রাজীব দাস এবং অরুণ ভৌমিক রাজ্য সরকারের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি শূণ্যপদে নিয়োগনীতি না মেনে তাদের নিয়োগ করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে রিট পিটিশন করেছিলেন। এই পিটিশনের উপর রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায় , এই আবেদনটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও কোনো আদালত রাজ্য সরকারকে এমনভাবে নিয়োগ করার আদেশ দিতে পারে না। যে বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত ইতিমধ্যেই সব আইনি বিষয় দেখে ও যাচাই করে রায় প্রদান করেছে।এই বিষয়কে পুনরায় যাচাই করার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে অনৈতিক।
আদালত জানায় নাগরিক অধিকার সুরক্ষা যেমন আদালতের কাজ তেমনি আইনের সুরক্ষার মাধ্যমে আইনের শাসন বজায় রাখাও আদালতের কাজ। বিচারপতি অরিন্দম লোধ জানান, সংবিধানের ১৬ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে, উচ্চ আদালত সংবিধানের ২২৬ ধারা অনুযায়ী সরকারকে বেআইনি সিদ্ধান্ত নিতে আদেশ দিতে পারেনা।
এই রায় থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে ত্রিপুরা উচ্চ আদালত ১০৩২৩ চাকরীচ্যুত শিক্ষকদের অন্তিম শুনানি দিয়েছে। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের যে নিয়োগ নীতি ছিল তাকে আগেই ত্রিপুরা উচ্চ আদালত বেআইনি ও ত্রুটিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছিল। পরবর্তীকালে এই বিষয়ে রায় দিতে গিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও একই কথা বলেছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের কোনো ধরনের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা যাবে না। যদি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তারা উত্তীর্ণ না হতে পারে তাহলে তাদের অন্য পদে নিয়োগনীতি মেনে নিয়োগ করা যেতে পারে।
এদিকে সোমবার এই রায় ঘোষণার পর শাসক দল বিজেপি’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে,সর্বোচ্চ আদালতের স্পষ্ট আদেশ থাকা সত্ত্বেও সিপিআইএম’র কিছু ইউনিয়ন এই চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের রাস্তায় নামিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে। মেলারমাঠের নির্দেশেই রাজধানীতে বিভিন্ন বনধ ও জনজীবন ব্যাহত করার মত আন্দোলন করছে চাকরিচ্যুতরা।তাতে বিঘ্নিত হচ্ছে শান্তির পরিবেশ।

Exit mobile version