Site icon জনতার মশাল

সোনামুড়া থানার লকআপে আসামীর মৃত্যু।
পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পরিবারের।

ডেস্ক রিপোর্টার।।১৫ সেপ্টেম্বর।।
ফের থানার লকআপে মৃত্যু।এবার ঘটনা সোনামুড়া থানায়। লকআপে মৃত্যু হওয়া আসামীর নাম জামাল হোসেন(৩৫)।বাড়ি স্থানীয় বলেরডেপা এলাকায়।
বুধবার সকালেই থানার লকআপে মৃত্যু হয় তার।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় সোনামুড়া হাসপাতালে। থানার লকআপে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে জামাল হোসেনের?উত্তর নেই পুলিশের কাছে।ময়নাতদন্তের পর পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানতে পারবে বলে দাবি থানা কর্তৃপক্ষের। লকআপে মৃত্যু হওয়া যুবক জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে এনডিপিএস এক্টস ও ডাকাতির মামলা ছিলো।দীর্ঘদিন পলাতক ছিলো জামাল।মঙ্গলবার বাড়িতে এসেছিলো। প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে রাতেই সোনামুড়া থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিলো। এবং নিয়ে আসে থানায়। জামালের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাকে পুলিশ থানার লকআপে অকথ্য নির্যাতন করে হত্যা করেছে।কারণ রাতে পুলিশ যখন জামালকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে তখন সম্পূন্ন সুস্থ ছিলো।
সোনামুড়া থানা পুলিশের দাবি, রাতে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার পর শারীরিক অসুস্থতা বোধ করে জামাল।তখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।সেখানে চিকিৎসার পর ফের তাকে নিয়ে আসা হয় থানায়। কিন্তু সকালে থানার লকআপেই মৃত্যু হয় জামালের। এই ঘটনা কেন্দ্র করে বুধবার দিন ভর উত্তেজনা বিরাজ করে সোনামুড়া থানায়।
মৃত জামাল হোসেনের পরিবার সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।তাদের দাবি, জামালকে খুন করা হয়েছে। পরিবারের বক্তব্য, জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও সাজানো। তাকে পুলিশ থানার লকআপে এনে নির্যাতন করেছে।এই কারণেই লকআপে সে অসুস্থ হয়ে যায়।এবং পুলিশ বাধ্য হয় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে।শেষে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে ফের নিয়ে আসে থানার লকআপে।
এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করছে
জামালের পরিবারের সদস্যরা।প্রয়োজনে তারা দ্বারস্থ হবে আদালতের। তার জন্য জামালের পরিবার সোনামুড়া থানার ওসি সহ ডিউটি অফিসারের শাস্তি দাবি জানিয়েছে।তবে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রের খবর, এই ঘটনার জন্য প্রাথমিক ভাবে থানার ওসি ও ডিউটি অফিসারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারে।
এদিকে সোনামুড়া থানার লকআপে আসামী জামাল হোসেনের মৃত্যু ঘিরে সোনামুড়ায় নাগরিক সুরক্ষা মজলিসের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও থানায় ডেপুটেশান দেওয়া হয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে করা হয় রাস্তা অবরোধ।

Exit mobile version