Site icon জনতার মশাল

হাতি তাড়ানোর নামে বন দপ্তরে
লক্ষ লক্ষ টাকার বাজি ঘোটালা!


ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
         তেলিয়ামুড়া ও কল্যাণপুরে বন্য হাতির আক্রমণ অব্যাহত।লোকালয়ে প্রবেশ করে হাতি ভাঙচুর করছে বাড়ি ঘর।হাতির আক্রমণে উবে যাচ্ছে গ্রামবাসীদের রাতের ঘুম। কিন্তু দেওলিয়া স্থানীয় বনদপ্তর। বন দপ্তর এখন ঢাল – তলোয়ালহীন।হাতি হটানোর জন্য দপ্তরগ্রামবাসীদের দিচ্ছে না ফাটকাবাজী।


মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১ নাগাদ কল্যাণপুর থানাধীন দক্ষিণ ঘিলাতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের খগেন্দ্র বল কলোনি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাতে একদল বন্য হাতি  আক্রমণ চালায়। রাতের আঁধারে আচামকা বন্য হাতি গ্রামের বাড়িঘরে ঢুকে পড়ে। এবং একের পর এক বাড়িঘর ভাঙচুর করে। মুহূর্তের মধ্যেই গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ ভয়ে মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। 
    গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বন দপ্তর এই বিষয়ে উদাসীন।এক সময় হাতি তাড়ানোর জন্য শব্দ বাজি দিয়ে থাকতো বন দপ্তর।এখন তাও দেওয়া হয়নি। গ্রামবাসীরা এখন চাইছেন ক্ষতি পূরণ।


বন দপ্তরের উপর এক রাশ ক্ষোভ উগলে দিয়ে। গ্রামবাসীরা বলেন, শব্দবাজী তো দূরের কথা। বনরক্ষীরা পর্যন্ত আসে নি।মাঝখানে একজন রক্ষী ছিলো।তখন গ্রামের মানুষ নিশ্চিত ভাবে ঘুমাতে পারতো। কিনতু এখন কিছুই নেই।


দিনের পর দিন তেলিয়ামুড়া,কল্যাণপুর, মহারানী ঘিলাতলি অঞ্চলে নিয়মিত হাতি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এবং গ্রামবাসীদের বাড়িঘর শস্য ক্ষেত সব নষ্ট করে দেয়।তারপরও কোনো হেলদোল নেই। তারা একেবারেই ঢাল তলোয়ারহীন।কিন্তু কোথায় যাচ্ছে হাতি তাড়ানোর বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা? এই প্রশ্নের উত্তর কি দিতে পারবেন ডিএফও, এসডিএফও – রা?

Exit mobile version