ডেস্ক রিপোর্টার,১ফেব্রুয়ারি।।
“চলো পাল্টাই”—এই স্লোগানে উত্তাল হয়েছিলো গোটা রাজ্য। ধর্মনগর থেকে সাব্রুম সর্বত্র একটা ব্র্যান্ড স্লোগানের রূপ পেয়েছিলো “চলো পাল্টাই”।ঘটনা সবার জানা।২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করতে বিজেপি হাতিয়ার ছিলো “চলো পাল্টাই” স্লোগান।
বিজেপি’র “চলো পাল্টাই” স্লোগানকে কারা দিয়েছিলো বাস্তব রূপ? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজলে ঝুলিতে উঠে আসবে প্রচুর নাম।কিন্তু বাস্তর অর্থে যারা “চলো পাল্টাই” স্লোগানের স্বার্থক রূপ দিয়েছিলো এতদিন তারা থেকে গেলো ব্রাত্যের তালিকায়। বিজেপি’র এই সৈন্যদের পোশাকি নাম ” পৃষ্ঠা প্রমুখ”। বিজেপি-আইপিএফটি সরকার রাজ্যে চার বছর কাটিয়ে দিয়েছে দেখতে দেখতে।কিন্তু এই সময়ে অনাদরে ছিলো “চলো পাল্টাই”র কারিগররা।দাবি বিজেপি’র কর্মীদের।
প্রদেশ বিজেপি’র খবর অনুযায়ী, “পৃষ্ঠা প্রমুখরা” এতদিন অনাদরে থাকলেও এখন তাদের কদর বাড়ছে দলে।কারণ আগামী বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। ২৩-র যুদ্ধ জয়ের জন্য অনাদরে থাকা পৃষ্ঠা প্রমুখদের এখন গুরুত্ব বাড়ছে দলে। ১৮-র কৌশলের মতই পৃষ্ঠা প্রমুখরা কাজ করবে বুথে বুথে।তৈরি করবে “ডাটা বেস”। ইতিমধ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই বার্তা পৌঁছে যাবে পৃষ্ঠা প্রমুখদের কাছে।
বিজেপি’র একাংশ কর্মীরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, দল ক্ষমতায় আসার পর টানা চার বছর কোনো খোঁজ রাখেনি পৃষ্টা প্রমুখদের।বহু পৃষ্ঠা প্রমুখ ক্ষোভে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন বহুদিন ধরেই।অনেকে বেরিয়ে গেছেন দলের মূল স্রোত থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই ১৮-র নির্বাচনে পৃষ্ঠা প্রমুখরা যেভাবে সক্রিয় হয়ে কাজ করেছিল, এখন তাদের মধ্যে সেই উদ্যম পাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।
বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের গলায় ভেসে উঠছে অন্য স্বর।তাদের বক্তব্য, দলের পৃষ্ঠা প্রমুখদের শক্তি আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দলের থিঙ্কট্যাঙ্কদের সঙ্গে তাদের সুন্দর বোঝাপড়া রয়েছে। ২৩-র ভোটে পূর্ন শক্তি নিয়ে রাজ্য ব্যাপী পৃষ্ঠা প্রমুখরা কাজ করবে।প্রতিটি বুথে সক্রিয় ভাবে কাজ করছে পৃষ্ঠা প্রমুখরা। সুতরাং পৃষ্ঠা প্রমুখদের নিয়ে ভাবিত নয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।তাদের দাবি, দলের পৃষ্ঠা প্রমুখরা নতুন উদ্যমে শুরু করেছে কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *