সংসার প্রতিপালনের জন্য জঙ্গলে গিয়েছিলেন সবজি কুড়াতে। সবজি এনে যাবেন বাজারে।সবজি বিক্রির টাকা ক্রয় করবেন চাল,ডাল ও তেল।
কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। শেষ পর্যন্ত ফিরে এসেছে পচাগলা লাশ। তাও পড়েছিলো গভীর জঙ্গলে।এই ঘটনা গন্ডাছড়ার দুর্গাপুর গ্রামে।
এই অভাগীর নাম শচিরানী ত্রিপুরা। দুই সন্তানের জননী। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।নিয়ম অনুযায়ী পাঠিয়েছে হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে গন্ডাছড়া থানার পুলিশ। কিন্তু শচিরানী ত্রিপুরার মৃত্যু হলো কিভাবে? সিন অফ ক্রাইম অনুযায়ী, পুলিশের বক্তব্য শচিরানীকে খুন করা হয়েছে। তাহলে কারা,কোন অবস্থায় এবং কেন শচিরানীকে খুন করেছে? গত ১৭ মে শচিরানীর লাশ উদ্ধার হলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত এই সংক্রান্ত বিষয়ে এক চুলও তদন্ত করেনি। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শচিরানীর খুনিরাও নিজেদের গুছিয়ে নিতে সক্ষম হবে।
শচিরানীর মৃত্যু নিয়ে কি বলছে পুলিশ? প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ খুন,কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু করা যাবে না।যেহেতু পুলিশের কাছে একজনের মৃত্যু “খুন” বলে পরিষ্কার চিত্র উঠে এসেছে,তারপরও কেন কাল বিলম্ব? সন্দেহ ভাজনদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ। না,নিজেদের দায়িত্ব এড়ানোর জন্য পুলিশ নানান বাহানা করে। পুলিশের এই মনোভাবের পেছনে যে সব সময় অর্থনৈতিক বিষয় থাকে তা কিন্তু না।অনেক সময় পুলিশ দায়িত্ব এড়িয়ে যায়।সেই সঙ্গে খুনের মত ঘটনাও চাপা পড়ে যায়।এবং সাধারণ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতোই এই সব মামলাও নথিভুক্ত হয়ে যায় পুলিশের খাতায়।
গন্ডাছড়ার দুর্গাপুরের বাসিন্দা মধুচন্দ্র ত্রিপুরার স্ত্রী শচিরানী ত্রিপুরার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তেও পুলিশের ভূমিকা অনুরূপ। শচিরানী ত্রিপুরার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিলো নবদীপ পাড়ার গভীর জঙ্গলে।গভীর জঙ্গলে কারা হত্যা করেছে শচিরানীকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তবে উত্তর কবে আসবে জন সম্মুখে?তা বলা কঠিন।গোটা রাজ্য জুড়ে হামেশা এই ধরণের গুপ্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।কিন্তু পুলিশ অপরাধীদের টিকির লাগল পায়নি।বা পাওয়ার মত চেষ্টাও করেনি। এই রকম গুপ্ত হত্যার ঘটনা মূলত সংঘটিত হয় পাহাড়ি এলাকাতেই। আর সেই সঙ্গে খুন হওয়া লোকজনের পরিবারের বিচারের বাণী সরবে কাঁদলেও হেলদোল নেই পুলিশ প্রশাসনের।এবং তথা কথিত সুশীল সমাজের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *