ডেস্ক রিপোর্টার, ১জুলাই:
কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক ব্রাত্য বসুর হাত ধরে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।সুবল ভৌমিক পরিকল্পনা করছেন দলের প্রত্যেককে এক সাথে নিয়ে কাজ করতে।বাস্তবে কি তা সম্ভব হবে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে খোদ বঙ্গ তৃণমূল নেতৃত্বের।কারণ সুবল ভৌমিক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর দলের বর্তমান তৃণমূল স্তরের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছে।কারণ সুবল ভৌমিক এর আগেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলে গা ভাসিয়ে আবার আবার বেরিয়ে গেছেন দল থেকে।স্বাভাবিক ভাবেই সুবল ভৌমিকের এই “রাজনৈতিক অনাচার” তৃণমূল কর্মীরা মেনে নিতে পারছে না।শুধু কি তাই, সাধারণ সমর্থক ও ভোটাররা সুবল ভৌমিকের উপরও আস্থা রাখতে পারছেন না।কারণ সুবল ভৌমিকের নিজের কোনো স্থিরতা নেই।
তৃণমূল স্তরের কর্মীদের বক্তব্য, রাজ্য রাজনীতিতে সুবল ভৌমিক নিজেও লবি বাজিতে সেরা।তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকার সময় করেছেন নানান গ্রুপ।সব মিলিয়ে দল বদলকারী নেতা সুবলের উপর বিশ্বাস নেই মানুষের।তৃণমূল স্তরের কর্মীরা ব্রাত্য বসু,মলয় ঘটকদের এই সংক্রান্ত অভিযোগ করেছে।শুক্রবার রাজধানীতে একশ জন যুবক যোগ দেওয়ার কথা ছিলো তৃণমূলে।কিন্তু সুবল ভৌমিকের যোগদানের পর একশ যুবক তৃণমূলে যোগ দিতে রাজি হয়নি।তারা ব্রাত্য বসুর সঙ্গে হোটেলে কথা বলে চলে যায়।যুবকরা জানিয়ে দিয়েছে,”নয় বার দল বদলকারী সুবল ভৌমিকের সঙ্গে তারা কাজ করবেন।” যদিও বঙ্গ নেতারা যুবকদের বুঝানোর চেষ্টা করেছেন,দলে সুবল ভৌমিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে না।ত্রিপুরাতে দলের স্টিয়ারিং থাকবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।কিন্তু ব্রাত্য-মলয়দের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেনি তৃণমূলে যোগ দিতে আসা যুবকরা।তারা সরাসরি হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়।রাজধানীতে একশ যুবক তৃণমূলে যোগ দিল তার প্রভাব পড়তো অনেক বেশি।কিন্তু বঙ্গ নেতৃত্ব সুবলকে নিয়ে বেশি ব্যাস্ত ছিলেন।এই কারণেই বর্তমানে দলের সঙ্গে যারা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত,তারা বঙ্গ নেতৃত্বের ভূমিকায় ক্ষোব্ধ।তবে সবই বলবে সময়।কিন্তু তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব না দিলে তৃণমূলের ফলও যে বেশি ভালো হবে না,তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *