ডেস্ক রিপোর্টার,৩১ আগস্ট।।

রাজ্য মন্ত্রিসভার নবনিযুক্ত মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাসের এসসি সার্টিফিকেট জাল। মঙ্গলবার এই অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক। মঙ্গলবার দলত্যাগী অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে একথা বলেন । বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রিসভার নবনিযুক্ত সদস্য ভগবান চন্দ্র দাসের বোন মিনা দাসের তপশিলি জাতি সার্টিফিকেট ভুয়ো। বোনের জাল সংশাপত্র বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক। ফলে মিনা দাসকে চেয়ারপারসন থেকে বরখাস্ত করা হয়। নিজের বোনের এসসি সার্টিফিকেট যদি জাল হয়, তাহলে ভাইয়ের এসসি সার্টিফিকেট কেন জাল হবে না। সেই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক। গত ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তপশিলি জাতি শংসাপত্র নিয়ে এসসি সংরক্ষিত আসনের লড়াই করে বিধানসভার সদস্য হয়েছেন।

সুবল ভৌমিকের বক্তব্য, ভগবান ওবিসি সম্প্রদায় ভুক্ত।ওবিসি সম্প্রদায়ের একজন মানুষ হয়ে ভগবান চন্দ্র দাস কি করে এসি হয়েছেন? তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক এই ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য বিধানসভায় এরকম অনেক বিধায়ক রয়েছেন যারা তপশিলি জাতির শংসাপত্র জাল করে বিধায়ক হয়েছেন। এবং এসসি সংরক্ষিত আসনের লড়াই করেছেন। বাম আমলে শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এরকম ভাবেই জাল তপশিলি জাতি শংসাপত্র নিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন নেতা পার্থ দাস।
সেই সময় চাপে পড়ে তদানীন্তন বাম সরকার বিধায়ক পার্থ দাসের তপশিলি জাতি শংসাপত্র বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল। এমনকি জাতীয় কমিশন থেকেও করা হয়েছিল তদন্ত।

এবারও এই ভগবান চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে তদন্ত করার দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক। সুবল ভৌমিক বলেন, রাজ্য বিজেপি-আইপিএফটি জোট সারকারের মন্ত্রিসভায় তপশিলি জাতির কোনো প্রতিনিধিত্ব এতদিন ছিল না। অথচ শাসকদলের দশজন তপশিলি বিধায়ক রয়েছেন। কেন এতদিন তাদের প্রতিনিধিত্ব নেওয়া হলো না ? এই প্রশ্ন তুলেছেন সুবল। নির্বাচন এগিয়ে আসায় তপশিলি জাতি অংশের মানুষের ভোট পাবার লোভে ভগবান চন্দ্র দাসকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন সুবল ভৌমিক।
ভগবান চন্দ্র দাসের এসসি সার্টিফিকেট সঠিক ভাবে তদন্ত হলেই ঝোলা থেকে বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন টি এমসি নেতা সুবল ভৌমিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *