ডেস্ক রিপোর্টার, ২ এপ্রিল।।
“গণতান্ত্রিক পন্থানুসারে একজন চা বিক্রেতা যদি দেশের প্রধানমন্ত্রীর মত গরিমাপূর্ণ পদমর্যাদায় আসীন হতে পারেন, তাহলে আমাদের রাজ্যের চা শ্রমিকরাও উচ্চ শিরে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে পারবেন।”—-বক্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। শুক্রবার তিনি দুর্গাবাড়ি চা বাগানে অনুষ্ঠিত জনসভায় একথা বলেন।
বিপ্লব কুমার দেব বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্প” দ্বারা এই শিল্প ক্ষেত্রের বিকাশ ও এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতি যথার্থ সম্মাননা স্বরূপ, পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ১৭৬ টাকা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের চা বাগিচার পরিচালন ব্যবস্থার নানান প্রতিবন্ধকতা নির্মূলিকরণের দ্বারা, উৎপাদন বৃদ্ধি ও রুগ্নপ্রায় এই শিল্পের উন্মেষে বিবিধ পরিকল্পনার ফলে সমৃদ্ধির পথে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এক সময়ের অবহেলিত এই শিল্প।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, সম্প্রসারিত গুচ্ছ সুযোগের সহায়তায় টিসিএস-সহ বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন তাঁদের সন্তানরাlরাজ্যের চা শ্রমিকদের আর্থ সামাজিক জীবনমান উন্নয়নে গুচ্ছ পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে। উন্নয়নের প্রশ্নে দীর্ঘ অবহেলিত চা বাগিচা শ্রমিকদের স্বার্থে পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, ভূমি বন্দোবস্ত, আবাস, বিদ্যুৎ জল সংযোগ সহ নানাবিধ পরিকল্পনা রূপায়ন করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন,”দুর্গাবাড়ি চা বাগানে আয়োজিত ধন্যবাদ সভায় অংশগ্রহণ করে চা বাগিচার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে বার্তালাপের মাধ্যমে ও তাদের জীবনশৈলী সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত ভাবে অবগত হয়েছেন। চা শ্রমিকদের ঐতিহ্যবাহী, সুস্বাদু চাপাতা ভর্তাও তিনি খেয়েছেন। বাগিচা শ্রমিক ও এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মাঝে আজ একটি দারুণ সময় অতিবাহিত করার সুযোগ পেলামl তাদের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু চা পাতা ভর্তা, খেলাম।শ্রমিকদের আতিথেয়তায় তিনি অভিভূত।বিপুল সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে আঁকড়ে রাখার জন্য প্রত্যেক চা শ্রমিকদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *