ডেস্ক রিপোর্টার,২আগস্ট:

“কোনো ধমক চলবে না।আগামী দেড় বছরের মধ্যেই ত্রিপুরায় তৃনমূল কংগ্রেস সরকার গড়বে।” বক্তা তৃনমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী। সোমবার রাজ্যে এসে একথা বলেন তিনি। অভিষেক তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন ত্রিপুরা নিয়ে তৃনমূল কংগ্রেসের ভাবনার বীজ কতটা গভীরে প্রোথিত আছে।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার রাজ্যে আসেন তৃনমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জী।সকালে তিনি আগরতলা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে উদয়পুর মাতাবাড়িতে।সেখানে গিয়ে তিনি মায়ের পুজো দেন।তবে উদয়পুরে পৌছতে গিয়ে অনেক হ্যাপা পোহাতে হয় অভিষেক ব্যানার্জীর।তৃনমূল কংগ্রেসের অভিযোগ,রাস্তায় বিজেপি’র কর্মী-সমর্থকরা অভিষেক ব্যানার্জীর গাড়িতে আক্রমণ করে। বিজেপির পতাকা সাটানো ঝান্ডা দিয়ে অভিষেকের গাড়িতে সজোরে আঘাত করা হয়। কোথায়ও ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়েছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, দলের আইটি সেলের ইনচার্জ সুদীপ রাহাকে পুলিশ নির্যাতন করে।তাঁর গলায় টিপে ধরে কর্তব্যরত পুলিশ।সঙ্গে ছিলো বিজেপি’র লোকজন। অবশেষে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে অভিষেক ব্যানার্জী পৌঁছান মাতা বাড়িতে।দেন পূজো।তবে অভিষেকের সফর কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনায় টগবগ করছিলো গোটা সরোবর নগরী।
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পূজো দিয়ে
অভিষেক ব্যানার্জী চলে আসেন রাজধানীতে।শহরের একটি হোটেলে বসে করেন সাংবাদিক সম্মেলন।সঙ্গে ছিলেন বাংলার দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটক।প্রদেশ তৃনমূল সভাপতি আশীষ লাল সিংহ ও সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক।তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জী সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন,” বিজেপি’র ধমক-চমকে ভয় পায় না,তৃনমূল কংগ্রেস।আগামী দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃনমূল।” তৃনমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, “ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে কৌশল নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির।দিল্লি থেকেই চলবে ত্রিপুরার রিমোট কন্ট্রোল।” তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা অভিষেক উদয়পুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন।তিনি বলেন,বিজেপি’র পায়ের নিচে যে জমি নেই উদয়পুরের ঘটনা থেকেই তা প্রমাণিত। অভিষেক তাঁর কর্মীদের, মাটি আঁকড়ে ধরে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছেন।সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক ব্যানার্জী বুঝিয়ে দিয়েছেন,মূলত কি চাইছে তৃনমূল কংগ্রেস।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন,”ত্রিপুরাতে বিজেপি চরম অবিচার শুরু করেছে।বাস্তব অর্থে এটা বিজেপির দেউলিয়াপনা মনোভাব।” তৃনমূল কংগ্রেস ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাবে। বঙ্গ নেতৃত্ব নিয়মিত আসবে ত্রিপুরায়। সাংবাদিক বৈঠক শেষে অভিষেক ব্যানার্জী চলে যান।এরপর অনুষ্ঠিত হয় দলত্যাগ পর্ব।কংগ্রেস-বিজেপি ও সিপিআইএম ছেড়ে বেশ কিছু লোকজন উৎসাহ ভরে যোগ দেন “মা-মাটি-মানুষে”র দলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *