বাতিল সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা।তবে ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদ (টিবিএসই )কোন পথে হাটবে? করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে কি বোর্ড নেবে পরীক্ষা,নাকি বাতিল হবে পরীক্ষা । এই নিয়েই কিন্তু বিভিন্ন মহলে চর্চা। তবে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে কেন্দ্রীয় মধ্য শিক্ষা পর্ষদ বাতিল করলো দ্বাদশ পরীক্ষা। আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করেছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারী এডুকেশন।
করোনা মহামারী পরিস্থিতির জন্য ২০২১সালে সিবিএসই দ্বাদশের পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।মঙ্গলবার খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তবে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে এক দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন অভিভাবকরা। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর স্বস্তি ফিরে এসেছে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে।

অন্যদিকে ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদ এখন কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানায় নি। আদৌ কি পরীক্ষা হবে,নাকি বাতিল করা হবে?

ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদ এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়াতে দুশ্চিন্তায় পড়ছে রাজ্যের ছাত্র ছাত্রী সহ অভিভাবক মহল। তবে গত মাসে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নেওয়া হবে পরীক্ষা।তার জন্য পরীক্ষাথীদের পঠন-পাঠন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অতিমারির কথা মাথায় রেখে,এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকেও দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো উচিত।তবে এই মুহূর্তে পরীক্ষা বাতিল করার পক্ষেই মত দিয়েছে দেশের রাজনীতিক থেকে শুরু করে শিক্ষা অনুরাগীরা।

করোনার বিধি নিষেধ মেনে পরীক্ষা হলে থেকে যাবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্রমণের বড় ঝুঁকি। স্বাভাবিক ভাবেই ছাত্রছাত্রীদের করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশংকাটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এই মুহির্তে ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।কোন কোন মহল থেকে বলে হচ্ছে পর্ষদের সিদ্ধান্ত ক্রমে কোন পরীক্ষায় বাতিল করা হবে না। বাস্তব অর্থে সরকার এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।তবে এই মুহূর্তে গত দুইদিন ধরে রাজ্য সহ গোটা দেশে সংক্রমন ও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম।
ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের খবর অনুযায়ী, আগামী দুইদিনের মধ্যে রাজ্য সরকার পরীক্ষা সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।

করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পড়ুয়ারা। গত দেড় বছরের করোনার তান্ডবে ঘরবন্দী স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা। তাদের পঠন-পাঠনে যেমন সমস্যা হচ্ছে,তেমনি ভাবে ছাত্রছাত্রীরা মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *