ডেস্ক রিপোর্টার,৪জানুয়ারি,
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অভিষেক ব্যানার্জির সফরের মধ্য দিয়ে রাজ্যে বেজে উঠলো ২৩-র মহা ভোট যুদ্ধের দামামা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।তার আগে দুইদিনের রাজ্য সফরে এসে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোকাল টনিক দিয়ে যান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি।
অভিষেক রাজ্য সফরে এসে জানিয়ে দিয়েছেন,চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের গোড়াতেই প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হবে।একইভাবে শহরে উদ্বোধন করা হবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কার্যালয়।অভিষেক ব্যানার্জি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন।যথা সময়ে তারা যোগ দেবে তৃণমূল কংগ্রেসে। গ্রাম-পাহাড়েও তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সংগঠন তৈরি করছে।২৩-র ভোট যুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতিতে মরণ কামড় দেবে বলে অভিষেক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
১৯৯৮ সাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস বারবার ত্রিপুরায় এসেছিলো।কিন্তু সফল হতে পারেনি কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, এটা (বর্তমান সময়ের) ২০২১-র তৃণমূল কংগ্রেস।১৯৯৮-৯৯ , ২০১৪,২০১৬ কিংবা ২০১৮-র তৃণমূল কংগ্রেস নয়।এবারের তৃণমূল কংগ্রেস সম্পুর্ন আলাদা।সুতরাং এই তৃণমূল কংগ্রেসের উপর যে রাজ্যের মানুষ আস্থা রাখতে পেরেছে তার প্রমান পাওয়া গিয়েছে সদ্য সমাপ্ত পুর ভোটের ফলাফলে।অভিষেক ব্যানার্জি বলেন,মাত্র তিন মাসে তৃণমূল কংগ্রেস ২৩শতাংশ ভোট পেয়েছে।এটা বড় সাফল্য।এখনো বিধানসভা ভোটের এক মাস বাকি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক ব্যানার্জি বলেন,কোনো শর্ত সাপেক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস কাউকে দলে নেবে না।তবে অন্য দল থেকে তৃণমূলে আসা নেতারা অনেক বেশি সন্মান পাবে।অর্থাৎ অভিষেক ব্যানার্জি ঘুরিয়ে বার্তা দিলেন,বিজেপি’র সংস্কারপন্থী বিধায়কদের। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি আক্রমণ করেন কংগ্রেসকেও।তিনি বলেন,গত সাত বছর ধরে কংগ্রেস সর্ব ভারতীয় রাজনীতিতে কিছু করতে পারছে না।এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে একটা আবহ তৈরি হয়েছে।তবে কংগ্রেস ভাঙার কোনো ইচ্ছা নেই তৃণমূল কংগ্রেসের।যেখানে বিজেপি আছে তৃণমূল সেখানেই ছুটে যাচ্ছে।এবং বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছে।বাংলা, গোয়া, ত্রিপুরাতে বিজেপিই তৃণমূল কংগ্রেসের মূল প্রতিপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *