ডেস্ক রিপোর্টার,৪ফেব্রুয়ারি।।
রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মাত্র অঙ্কুরোদগম হয়েছে। মেলাতে শুরু করেছে ডালপালা। তবে ভবিষ্যৎ বলবে শেষ পর্যন্ত ঘাসফুলের অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকে।কিন্তু তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ব্র্যান্ড নেম’কে কাজে লাগিয়ে একাংশ নেতা-কর্মী সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেছে।আবার কেউ কেউ ব্যবসায়ীদের টাকা তোলার কাজও শুরু করেছে প্রতি নিয়ত। দলের একাংশ নেতা-নেত্রীর এই ধরণের কার্যকলাপে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর বিতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছে একাংশ মানুষ।
বনমালীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা মহুয়া চক্রবর্তী।তিনি তৃণমূল নেত্রী।সদ্য সমাপ্ত আগরতলা পুর নির্বাচনে ২৩নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করেছিলেন।তার বোন পূজা চক্রবর্তী।তিনিও সরাসরি জড়িত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মহুয়া চক্রবর্তী ও পূজা চক্রবর্তী দুই বোন মানুষের কাছ থেকে নানান কথা বলে টাকা তুলছে।কিন্তু মানুষ টাকা ফেরত চাইলেই শুরু হয় তাদের গাত্র দহন।এবং নানান টালবাহানা। তৃণমূল নেত্রী মহুয়া ও পূজা দুই বোনের এই সংক্রান্ত উপাখ্যান সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল।
যাদের কাছ থেকে তারা টাকা হাতিয়েছে তারাই সোস্যাল মিডিয়াতে প্রতারণার উপাখ্যান তুলে ধরছে।তবে “জনতার মশাল” সোস্যাল মিডিয়াতে দেওয়া এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের দেওয়া পোস্টের ভিত্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এটাও বাস্তব, মহুয়া ও পূজার প্রতারণার বিষয়ে এখন পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।বা দল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি বলে খবর।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী মহুয়া চক্রবর্তী ও পূজা চক্রবর্তীর পক্ষ থেকে পাল্টা কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আর তাতেই সন্দেহ আরো গভীর হচ্ছে। এই পরিস্থিতি যদি তৃণমূল কংগ্রেসের চলতে থাকে তাহলে আগামী দিনে এই রাজ্যে মমতা- অভিষেকের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *