ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
রাজভবন অভিযানে প্রদেশ কংগ্রেস ফের তাদের শক্তি প্রদর্শন করল। শুক্রবার এআইসির নির্দেশে রাজ্য আইন অমান্য আন্দোলন করে কংগ্রেস। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন কংগ্রেস নেতা, কর্মী- সমর্থকরা সকাল থেকেই জড়ো হয় কংগ্রেস ভবনের সামনে। সেখান থেকে কংগ্রেসের বিশাল মিছিল রাজপথের বুক চিরে চলে যায় সার্কিট হাউসে। রাজভবনে যাওয়ার আগেই কংগ্রেসের পথ আটকে দেয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।প্রদেশ কংগ্রেসের এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন,প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, কংগ্রেস নেতা আশীষ সাহা,গোপাল রায়, প্রশান্ত ভট্টাচার্য,যুব নেতা শাহজাহান ইসলাম সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্ব।
কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, তাদের রাজভবন অভিযান করতে দেওয়া হয়নি।তার আগেই আটকে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের এই উত্থান শাসকদল বিজেপির পেটে মোচড় ধরেছে। এই কারণেই কংগ্রেসকে আটকানোর জন্য সমস্ত রকমের প্রয়াস শুরু করেছে বিজেপি। কংগ্রেস নেতৃত্বে কথায়, প্রদেশ কংগ্রেসের এই উত্থানকে আটকাতে পারবেনা বিজেপি। রাজ্যের ঘর থেকে যুবারা বেরিয়ে আসছে। তারা যোগ দিচ্ছে কংগ্রেসে। আগামী দিনে কংগ্রেস মানুষকে পাশে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে। এবং ২৩র ভোটে বিজেপিকে নিশ্চিত ভাবে পরাজিত করবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কংগ্রেস নেতৃত্ব বলেন,মোদি সরকারের লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি, দেশে বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, গরিব মানুষের খাবারে (চাল,আটা,গম,মাখন,পনির,দই ইত্যাদি ) জিএসটি বাধ্যতা মূলক করেছে কেন্দ্র। এবং মোদি সরকারের বেকার বিরোধী অগ্নিপথ যোজনা প্রত্যাহার করার দাবিতে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী এই আন্দোলন কর্মসূচি।