কমলপুর ডেস্ক,৮মে।।
“রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও একজন বাগিচা শ্রমিকের ভোটাধিকারের মূল্য সমান। বিগত দিনে চা শ্রমিকদের অসম উন্নয়নে হ্রাস টেনে, বর্তমানে তাদের আর্থ সামাজিক জীবন যাত্রার মান বিকাশে ‘মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যান’ প্রকল্প-সহ গুচ্ছ পরিকল্পনা সফল ভাবে রূপায়ণ করছে রাজ্য সরকার।”—বক্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। শনিবার কমলপুরের সুরমার মহাবীর টি এস্টেট এসবি স্কুল মাঠে আয়োজিত সভায় একথা বলেন তিনি।
” শ্রমিকদের আত্মসম্মান সুনিশ্চিত করা সহ সোসাইটি বা শ্রমিকদের যুক্ত করে, পরিত্যক্ত চা বাগিচা গুলিকে পুনঃ উজ্জীবিতকরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।” বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পূর্বতন বাম সরকারকে খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক ক্ষীণ স্বার্থে রাজ্যের স্বভিমানী বাগিচা শ্রমিকদের আবেগ ও ভরসা বিগত দিনে শুধুই ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু, বর্তমানে আন্দোলনে ব্যাস্ত করে রাখার বদলে, বিভিন্ন সহায়তায় কৃষকদের জমিতে সময় অতিবাহিতকরণের অনুকূল পরিমন্ডল ও অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পাকা বাড়ি সুনিশ্চিতিকরণে প্রাধান্যের ভিত্তিতে কাজ চলছে।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, পরিশ্রুত পানীয় জল, গ্যাস, সব ঋতুতে ব্যবহারযোগ্য রাস্তা, বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, নির্দিষ্ট ছাত্র ছাত্রীদের মোবাইল, বাই-সাইকেল, পাঠ্য বই, সৌর লণ্ঠন, মেধা বৃত্তি সহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।তাছাড়াও সামাজিক ভাতা, স্বাস্থ্য বীমা, স্বনির্ভর পরিবার যোজনা, রেগার শ্রমদিবস, বিদ্যুৎ সংযোগ, বায়ো গ্যাস স্থাপন, কৃষি সহায়ক যন্ত্রাংশ, ভূমির বন্দোবস্তু সহ গুচ্ছ পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর দেশের হর ঘর জলের স্বপ্ন পুরণ হয়েছে মহাবীর চা বাগানে।এই টি এস্টেটে সমাজের অন্তিম ব্যক্তি, চা শ্রমিকদের বাড়িতে অটল জলধারা মিশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে গেছে।এটাই রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বাস্তব রূপ।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজের প্রতি স্পৃহা ও গতিকে অনুসরণ করেই রাজ্য সরকার কাজ করছে। মাত্র দু’মাস আগে রাজ্যের চা বাগান শ্রমিকদের স্বার্থে “মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্প” ঘোষণা করা হয়েছিলো। মাত্র দুই মাসের মধ্যে প্রকল্পটির সুফল লাভার্থীদের কাছে পৌঁছতে শুরু করেছে। কমলপুরের মহাবীর চা বাগানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এর সুফল দেখে আপ্লুত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেকোনো আবহাওয়ায় ব্যবহারযোগ্য পাকা রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। গরীব চা বাগান শ্রমিক পরিবারদের ঘর দেওয়া হচ্ছে, প্রতি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ, রান্নার গ্যাস কানেকশন, মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় সুযোগ সহ ২২ টি ন্যুনতম সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।এত কম সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা লাভার্থীদের কাছে নিয়ে যাবার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনের আধিকারিকদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।