ডেস্ক রিপোর্টার,১০জানুয়ারি।।
রাজধানীর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ঝুলন্ত ব্রিজ লাগোয়া সুরেন্দ্রপল্লীতে গড়ে উঠেছে নেশা সামগ্রীর মজুত ভান্ডার।ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট সবই পাওয়া যায় সুরেন্দ্রপল্লীর ত্রিতল বাড়িতে।চক্রের মূল মাস্টারমাইন্ড সঞ্জু দাস।এই বাড়িতে বসেই সঞ্জু পাইকারি ও খুচরো দরে বিক্রি করছে নেশা সামগ্রী।এলাকায় কান পাতলেই শুনা যায় এই সংক্রান্ত খবর।কিন্তু ঠুঁটো জগন্নাথ পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করেই কি সুরেন্দ্র পল্লীতে নেশা ব্যবসার আড়ত খুলে বসেছে সঞ্জু দাস?প্রশ্ন তুলছে স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয়দের বক্তব্য, প্রায়শই রাতেই আঁধারে সঞ্জুর বাড়ির সামনে আসে ছোট গাড়ি।সংশ্লিষ্ট গাড়িতে করেই তার বাড়ির মজুত ভান্ডার থেকে পাচার হয় নেশা সামগ্রী। পৌষের ভর শীতের রাতে সঞ্জুর বাড়ি থেকে নেশা সামগ্রী পাচার আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।রাতের অন্ধকারে গাড়িগুলি ঝুলন্ত ব্রিজের রাস্তা ধরে তার বাড়ির গেটের সামনে চলে যায়।সেখান থেকে নেশা সামগ্রী গাড়িতে লোড করে প্রতাপগড়ের ব্রিজের রাস্তা ধরে বেরিয়ে যায় নিরাপদ গন্তব্যে চলে যায় কারবারীরা।কখনো আবার প্রতাপগড়ের ব্রিজের রাস্তা ধরে কারবারীরা চলে আসে সঞ্জুর বাড়ির সামনে।এবং গাড়িতে নেশা সামগ্রী বোঝাই করে চলে যায় ঝুলন্ত ব্রিজের রাস্তা ধরে।প্রতি রাতেই সুরেন্দ্র পল্লীতে চলে এই ধরণের কার্যকলাপ।
বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাতের আঁধারে গাড়ি গুলি সঞ্জুর বাড়িতে এসে নেশা সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে গেলেও তখন দুই ব্রিজের সামনেই থাকে পুলিশের মোবাইল। অথচ পুলিশ সঞ্জুর আসা নেশা কারবারের ব্যবহৃত গাড়িগুলিকে জালে তুলতে পারছে না। এই নেশা কারবারকে কেন্দ্র করেই সঞ্জু লিপ্ত হচ্ছে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠির লোকজনকে খালাসের কাজে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বারবার বলছেন, পুলিশকে কাজ করার জন্য দেওয়া হয়েছে ফ্রি হ্যান্ড।কিন্তু পুলিশ ফ্রি হ্যান্ড পেয়ে বরং দুই হাতে কামানোর রাস্তা খুঁজছে।এই কারণেই সুরেন্দ্র পল্লীর জনবহুল স্থানে রমরমা নেশা কারবার চললেও পুলিশ সঞ্জুর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে রহস্যের দানা বাঁধছে এলাকার জনমনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *