ডেস্ক রিপোর্টার,১৩মার্চ।।
২৩-র বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রদেশ বিজেপি।রাজ্য কমিটি থেকে শুরু করে বুথ স্তর পর্যন্ত ধাপে ধাপে সাংগঠনিক শুদ্ধিকরণ শুরু করেছে শাসক দল। প্রদেশ বিজেপি’র শুদ্ধিকরন প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে দলের সর্বস্তরে নয়া বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে।কারণ রাজ্য কমিটি থেকে জেলা কমিটি,মন্ডল কমিটি থেকে বুথ কমিটি সব জায়গাতেই একাংশ নেতার কাজকর্ম সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তার প্রভাবও পরিলক্ষিত হয়েছে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বার বার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলছেন, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে।রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলোর সফল মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিতে। মানুষ পাশে না থাকলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছা যাবে না বলেও মুখ্যমন্ত্রী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন।তাই জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য সর্ব স্তরের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে দল।
বিজেপি’র অন্দর মহলের খবর, গত চার বছরে দলের নানান স্তরের একাংশ নেতা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।তাদের বিরুদ্ধে দলের নেতৃত্বের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমান রয়েছে।এই কারণেই বেছে বেছে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নেতাদের দল দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ায় নেমেছে। সম্প্রতি প্রদেশ বিজেপি চার জেলার জেলা সভাপতি পরিবর্তন করেছে। একই ভাবে মন্ডল স্তরে আনা হয়েছে পরিবর্তন। যে সব মন্ডল সভাপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাদেরকে দল দায়িত্ব থেকে ছিটকে দিয়েছে। একই কারণে বেশ কিছু বুথের বুথ সভাপতির পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিজেপি’র একাংশ নেতা-কর্মীরা বিরুদ্ধে সরাসরি তোলা আদায়ের অভিযোগ সামনে এসেছে। তাদেরও সনাক্ত করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব।এরপর তাদের ফেলে দেওয়া হয়েছে শুদ্ধি করণের আওতায়। তবে চার রাজ্যে বিজেপি’র বিশাল জয়ের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপি’র একাংশ নেতা-কর্মী বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থক সহ সাধারণ মানুষের উপর আক্রামন শুরু করেছে।সারা রাজ্যে একই চিত্র।দাবি সিপিআইএম, কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীদের। দলে এক দিকে যেমন শুদ্ধিকরণ শুরু করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব,ঠিক একই ভাবে যারা দুর্বৃত্তপনা শুরু করেছে তাদেরকেও সনাক্ত করা উচিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।কেননা অন্যথায় ক্ষতি হবে দলের। মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতি সঞ্চার করে ২৩-র হার্ডেল টপকোনো কঠিন হয়ে পড়বে।এই কারণেই মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস বিহীন রাজনীতি করলে আক্ষরিক অর্থে লাভ হবে বিজেপি’র,বলছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *