ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
বোধজং নগর জোড়া হত্যাকাণ্ডে তদন্তের জাল গুটিয়া আনছে পুলিশ। সোমবার রাতে জোড়া হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আরো এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। তার নাম বাবুল দেববর্মা ওরফে রাহুল(১৯)। বাড়ি চৈলেংটা থানার লালছড়া এলাকায়। প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে এদিন রাতে বোধজং নগর থানা পুলিশ ও চৈলেংটা থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বাবুল দেববর্মাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের সোপর্দ করে তদন্তকারী পুলিশ। পুলিশের আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালতে ধৃত বাবুল দেববর্মার রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
তদন্তকারী পুলিশ এখন পর্যন্ত জোড়া হত্যাকান্ড মামলায় ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে একজন মহিলা।ধৃত ধৃত মহিলা জোড়া হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বাবুল দেববর্মার স্ত্রী। এই বাবুল দেববর্মা এখনো পলাতক। সে নন্দননগর স্থিত নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার। চৈলেংটা থেকে ধৃত বাবুল দেববর্মা নেশা মুক্তি কেন্দ্রের একজন কর্মচারী।এমনটাই দাবি করেছে তদন্তকারী পুলিশ।
বোধজং নগর থানার পুলিশ জানিয়েছে,এখন পর্যন্ত এই মামলায় ধৃত ছয় জন প্রত্যেকের সঙ্গেই নেশা মুক্তি কেন্দ্রের সম্পর্ক রয়েছে। এবং এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রেই খুন করা হয়েছিল পুষ্পক সাহা ও বাসুদেব দেববর্মাকে। পুলিশ প্রথমেই তদন্ত নেমে গ্রেপ্তার করেছিল নেশা মুক্তি কেন্দ্রের ম্যানেজার রহিত সিনহাকে । তার বক্তব্য মূলেই পরবর্তী সময়ে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের আরো তিন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত এই তিন কর্মীর বক্তব্য মূলে পুলিশ জালে তুলে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার তথা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বাবুল দেববর্মার স্ত্রী দীপ্তি দেববর্মাকে। শেষ রাতে জালে তুলে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের অপর কর্মী বাবুল দেববর্মাকে।
তদন্তকারী পুলিশের দাবি, ধৃত প্রত্যেকের সঙ্গে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের যোগসূত্র রয়েছে এবং পুষ্পক সাহা ও বাসুদেব দেববর্মাকে নিকেশের কাজে তারও জড়িত। এরা অবশ্যই পুষ্পক ও বাসুদেবকে খুন করেনি। কিন্তু খুনের কাজে সাহায্য করেছিলো। এবং নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে তাদেরকে অর্ধ মৃত অবস্থায় দড়ি দিয়ে বেঁধে গাড়িতে করে ডিসি পাড়াতে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছিলো ধৃতরা।
নেশা মুক্তি কেন্দ্রের ধৃত কর্মীরা জানিয়েছেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই এই জোড়া হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছে। ঘটনার রাতে তাদেরকে জরুরী তলবে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছিলো। নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিক বাবুল দেববর্মার নির্দেশেই তারা এই সমস্ত কাজকর্ম করেছে।
তদন্তকারী পুলিশ এখন পর্যন্ত এই মামলার অভিযুক্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করলেও কোন এর কাজে ব্যবহৃত রিভলভার উদ্ধার করতে পারেনি।এবং এখনও পুলিশের রাডারের বাইরে মাস্টারমাইন্ড বাবুল দেববর্মা তাকে জালে তোলার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে পুলিশ।
তদন্তকারী পুলিশের অনুমান জোড়া হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বাবুল ঘটনার পর পরই রাজ্যন্তরি হয়ে গেছে। তবে বহি: রাজ্য থেকে বাবুলকে গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।