ডেস্ক রিপোর্টার,১৪ডিসেম্বর।।
রাজ্য রাজনীতির নয়া মেরুকরণ। রাজনীতির নতুন সমীকরণের নিউক্লিয়াস হতে চাইছে কংগ্রেস।অর্থাৎ ২৩-র নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে প্রধান বিরোধী শক্তির ভূমিকায় আসতে চাইছে কংগ্রেস। বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের হাত ধরেই প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাণ সঞ্চার করতে চাইছে হাই-কমান্ড।তবে কংগ্রেসের এই ভূমিকা মানুষ কতটা মান্যতা দেবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।কারণ সাংবিধানিক ভাবে প্রধান বিরোধী শক্তি সিপিআইএম বসে আছে নিজেদের পুরো শক্তি নিয়ে।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে সামনে রেখে তৈরি হবে নতুন রোডম্যাপ। পাহাড়ে তিপ্রামথার সঙ্গে জোট করবে কংগ্রেস।এবং সমতলে কংগ্রেসের জোট সঙ্গী হবে তৃণমূল কংগ্রেস।অর্থাৎ কংগ্রেস-তিপ্রামথা ও তৃণমূল কংগ্রেস আসতে চলছে একই সারিতে। তারা প্রত্যেকেই বিজেপি বিরোধী শক্তি ।
এই মুহূর্তে পাহাড়ে শক্তিশালী তিপ্রামথা।তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পাহাড়ে তিপ্রার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার শক্তি নেই বিজেপি’র। জোট শরিক আইপিএফটিও যেকোনো সময় মিশে যেতে পারে তিপ্রামথার সঙ্গে।তাহলে তিপ্রামথার শক্তি বেড়ে যাবে আরও কয়েকগুণ।তবে সাংগঠনিক ভাবে পাহাড়ে তিপ্রামথাকে বেগ দিতে পারে একমাত্র সিপিআইএমের গণমুক্তি পরিষদ। অন্তত পাহাড় রাজনীতির প্রেক্ষাপট দেখলে এই চিত্র স্পষ্টত ভেসে উঠে।এক্ষেত্রে পাহাড়ে কংগ্রেসে তিপ্রামথাকে সমর্থন করে শাসক বিজেপি ও বিরোধী সিপিআইএমকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করবে।যদিও পাহাড় রাজনীতিতে কংগ্রেসের সাংগঠনিক অবস্থানও ভাল নয়।কংগ্রেসের পুরো উপজাতি সংগঠন অঘোষিত ভাবে তিপ্রামথার সঙ্গেই মিশে গেছে বলা যায়। সমতলের স্বার্থে তিপ্রামথাকে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতেই হবে।এটাও বাস্তব।
এই গেলো পাহাড়ের আপাতত ভোট অঙ্ক। সমতলে ভোট দখলের স্বার্থে কাছাকাছি চলে আসবে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি’র পুরো ভোট ছিলো কংগ্রেসের।এক্ষেত্রে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস এক ছাতার তলে চলে এলে বিজেপি’র জন্য বিপদ বাড়বেই।কারণ বিজেপি’র ভোটই স্যুইং করে চলে যাবে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসে। তাছাড়া রাজ্যে বিজেপি’র সংগঠনের বড় অংশ কংগ্রেস ঘরানার। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক লগ্নে দলের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ আরো চাগার দেবে।তার আগে অবশ্যই আছে চলতি বছরে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সংশ্লিষ্ট রাজ্য গুলির নির্বাচনে যদি কংগ্রেস ভালো ফলাফল করতে পারে তাহলে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েই বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরতে পারে।তবে চিত্র উল্টো হলে থমকে যাবে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস ও তিপ্রামথার গতি। তবে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণকে সামনে রেখেই চলতে চাইছে কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *