ডেস্ক রিপোর্টার,১৪ফেব্রুয়ারি।।
২৩-র ভোট যুদ্ধের লক্ষ্যে পাহাড়ে ঘর গুছানোর কাজ শুরু করেছে শাসক জোট আইপিএফটি। শনিবার ও রবিবার টানা দুইদিন
আগরতলা কৃষ্ণনগরস্থিত দশরথ দেব ভবনে হয় আইপিএফটি’র কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক।
আইপিএফটি’র এই বৈঠক রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এখানেই দলের সাংগঠনিক অবস্থা ও আগামী দিনে দলের অভিমুখ কোন দিকে থাকবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।দুইদিনের সাংবাদিক বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বলেন আইপিএফটি’র সেকেন্ড ইন কমান্ড মেবার কুমার জমতিয়া।
রাজ্যের মন্ত্রী মেবার কুমার জমতিয়া বলেছেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে মূলত আলোচনার উপপাদ্য হলো সাংগঠনিক বিষয়।মন্ত্রী মেবার কুমার জমতিয়ার বক্তব্য, গোটা রাজ্যে আইপিএফটি’র ৩৪টি সাংগঠনিক সাব-ডিভিশন রয়েছে। প্রতিটি সাব-ডিভিশন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে দলের সাংগঠনিক রিপোর্ট।প্রাপ্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করেন দলীয় নেতৃত্ব। এবং আগামী দিনে দলের রোড ম্যাপ কি হবে তাও উঠে আসে বৈঠকের আলোচনায়।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী মেবার কুমার জমতিয়া বলেন, পাহাড়ে এখনো তাদের শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। ২৩-র ভোটে আগে সংগঠন আরো শক্তিশালী হবে।এবং বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে জোর লড়াই দেবে আইপিএফটি।তিপ্রামথা তাদের জন্য কোনো ফেক্টর হবে না।কারণ আগামী দিনে মথার এতো শক্তি থাকবে না। প্রদ্যুত কিশোর ব্যতীত তিপ্রামথায় তেমন কোনো গ্রহণ যোগ্য নেতা নেই।।সুতরাং আইপিএফটি’র পাহাড়ে মূল শক্তি হিসেবে মাথাচাড়া দেবে ২৩-র মহারণে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মেবার কুমার জমতিয়া বলেন, আইপিএফটি ফের সরব হবে তিপ্রাল্যান্ড ইস্যু নিয়ে। তিপ্রাল্যান্ড ইস্যু নিতে আইপিএফটি দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবে।
বিজেপি’র সঙ্গে আইপিএফটি’র জোট প্রসঙ্গে মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, এখনো তারা বিজেপির সঙ্গেই আছে।পদ্ম শিবিরকেই করছে সমর্থন।কিন্তু রাজ্যের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।মেবার কুমারের এই বক্তব্যও ভাবনার বিষয়।তা থেকে পরিস্কার ২৩-র ভোট যুদ্ধের আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে তার সঙ্গে গা মেলাবে আইপিএফটিও। তাছাড়া তিপ্রাল্যান্ড ও গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’র মধ্যে সাধারণ জনজাতিরা শেষ পর্যন্ত কাকে গ্রহণ করে তা এখন দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *