ডেস্ক রিপোর্টার,১৪জুন।।
“রাজ্যের নেই আইনের শাসন। নেই গণতন্ত্র।বিজেপি শুধু করছে জুমলাবাজী।মানুষের জন্য কোনো কাজই করছে না। আর বিজেপি সরকারের শাসনেই গোটা আইন-শৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।” বললেন প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা গোপাল রায়।
মঙ্গলবার কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেন তিনি।
গোপাল রায় রাজ্যের অপরাধ জনিত নানান তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিজেপি সরকারের জামানায় রাজ্যে বেড়েছে নারী নির্যাতন। ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত রাজ্যে ২,৮৫১টি নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয়। এই সময়ে ৪৩জন মহিলা আত্মহত্যা করেছে। পনের জন্য বলি হয়েছে ৭৯জন গৃহবধূ।
বিজেপি সরকারের জামানায় রাজ্যে দাঙ্গার রূপ নিয়েছিল বলে দাবী গোপাল রায়ের। তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশের দুর্গা মণ্ডপের আক্রমনের ঘটনা কেন্দ্র করে ত্রিপুরাতে মসজিদ ভাঙা হয়। মারধর করা হয়েছিলো সংখ্যালঘুদের।করা হয়েছিলো বাড়িঘর ভাঙচুর।এই ঘটনার জন্য দায়ী ছিলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
গোপাল রায় নির্বাচন কমিশনের তথ্য দেখায় বলেন বিজেপি’র ৯জন বিধায়ক ও ২জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে ক্রিমিনাল কেস। গোপাল রায়ের যুক্তি,রাজ্যে মহিলা নির্যাতন বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি মহিলাদের নিরপত্তা দিয়ে তাদের জন্য সরকারি ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিজেপি চাকরি দিচ্ছে না। তাহলে চাকরিতে ৩৩শতাংশ সংরক্ষণ কিভাবে দেবে? গোপাল রায় রাজ্য বিজেপি’ প্রাক্তন প্রভারী সুনীল দেওধরকেও ‘মিসকল’ বাবা বলে কটাক্ষ করেন। কংগ্রেস ভবনে অনুষ্ঠিত এই সাংবাদিক সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রশান্ত ভট্টাচার্য ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *