ডেস্ক রিপোর্টার,১৪ ডিসেম্বর।।
ফের অপমানিত রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্ব।সুবল ভৌমিকের বাড়িতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আসার জন্য তাঁর বাড়ির “কেয়ার টেকার” ফোন করাতে ক্ষুব্ধ প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।ক্ষোভে তারা বৈঠক বয়কট করে।খোদ এই অভিযোগ জানিয়েছে প্রদেশ নেতৃত্বের একাংশ।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহবায়ক সুবল ভৌমিকের বাড়িতে রবিবার সকালে আসেন বঙ্গের তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বৈঠক করেন নেতৃত্বের সঙ্গে।শনিবার রাতে প্রদেশ নেতৃত্বকে ফোন করে বৈঠকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানায় সুবল ভৌমিকের বাড়ির “কেয়ার টেকার” বিল্টু। তাতে প্রদেশ নেতৃত্ব প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন।তাদের বক্তব্য, সুবল ভৌমিক ব্যস্ত থাকেন।তিনি ফোন করতে পারেন নি।তাতে কিছু আসে-যায় না।কিন্তু স্টিয়ারিং কমিটির বাদবাকি সদস্যরা তো রয়েছেন।যেকোনো কাউকে দায়িত্ব দিলে তিনি নেতৃত্বকে ফোন করতে পারতেন। ফোন করে বৈঠকের খবর দেওয়ার জন্য স্টিয়ারিং কমিটিতে লোকের অভাব নেই। কিন্তু সুবল ভৌমিক কাউকে দায়িত্বই দেন নি।ক্ষমতা নিজের কাছে কুক্ষিগত করে রেখে তাঁর কেয়ার টেকারকে দিয়ে ফোন করেছেন।
প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, আবার প্রদেশের সব নেতাকে ফোন করা হয়।বেছে বেছে নেতাদের ফোন করা হয়েছে।স্বাভাবিক ভাবেই অনেক নেতাই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে হওয়া বৈঠক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়।এই কারণে তারা আসতে পারেননি।যাদেরকে কেয়ার টেকার দিয়ে ফোন করা হয়েছে,তাদের মধ্যে অধিকাংশ গোসা করে বৈঠক বৈঠক করেছেন।
ক্ষুব্ধ প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, “তাদের অপমান করেছেন সুবল ভৌমিক। নেতাদের অপমান করার জন্যই তাঁর বাড়ির কেয়ার টেকার বিল্টুকে দিয়ে ফোন করিয়েছেন।তাই তারা বৈঠক বয়কট করেছেন”। ক্ষুব্ধ নেতৃত্বের অভিযোগ, সুবল ভৌমিক আহবায়ককের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দলের মধ্যে এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।তিনি নিজের লবির নেতাদের ধরে রেখে বাদবাকিদের আশানুরূপ ব্যবহার করছে না।অথচ এই সকল নেতারাই ২০১৮-র আগে থেকে দলের টিম টিম বাতি জ্বালিয়ে রেখেছিল। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতা দখলের পর তারাই ত্রিপুরাতে তৃণমূলকে উজ্জীবিত করার জন্য প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছিলেন।কিন্তু সুবল ভৌমিক পরবর্তী সময়ে দলে এসে পুরানো কর্মীদের কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর মতো কংগ্রেস ছুট জন বর্জিত পঞ্চম সারির লোকজনকে এনে দলে জায়গা করে দিচ্ছেন। বঙ্গ নেতৃত্বকে স্থানীয় ক্ষুব্ধ নেতারা এই সমস্ত বিষয় জানিয়েছেন।তারপরও কোনো সুরাহা হচ্ছেনা।সুবল ভৌমিকের এই ব্যবহারের কারণে নেতারা হতাশ। সংশ্লিষ্ট নেতারা জানিয়েছেন,তাদের সঙ্গেও লোকজন রয়েছে। দলের মধ্যে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তারা বিকল্প সিদ্ধান্ত নিতে চিন্তা করবে না।তখন প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা আরো করুন হবে। ক্ষুব্ধ নেতৃত্বের বক্তব্য, এখনো সময় রয়েছে।বঙ্গ নেতৃত্বের উচিত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামা।কিন্তু তা না করলে আগামী দিনে তৃণমূলকে আবারও পাততারি গুটিয়ে বাংলার রাস্তা ধরতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *