ডেস্ক রিপোর্টার,১৫জুন।।
অবশেষে সমস্ত মান-অভিমানকে দূরে রেখে টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে বিজেপি’র প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার সমর্থনে প্রচারে নামলেন মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। বুধবার রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী রামপ্রসাদ পালকে সঙ্গে নিয়ে ভোট প্রচারে বের হন মুখ্যমন্ত্রী। বড়দোয়ালি কেন্দ্রের ৩৩নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সমবায় মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রচারে মন্ত্রী রামপ্রসাদ পালকে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস লক্ষ্য করা যায় দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। বাড়ি বাড়ি প্রচারের সময় মুখ্যমন্ত্রী ও সমবায় মন্ত্রী উভয়ই “ভিক্টোরি” সিম্বল দেখান দলের কর্মী-সমর্থকদের। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ বিজেপি’র কিষান মোর্চার সভাপতি জওহর সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার প্রচারে বেড়িয়ে সমবায় মন্ত্রী রামপ্রসাদ বলেন, “৮-টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রীর জয় নিশ্চিত।এই কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জয় পাবেন মুখ্যমন্ত্রী।”
রামপ্রসাদ পালের বক্তব্য, বড়দোয়ালি কেন্দ্রের মানুষ দুই হাত ভরে ভোট দেবে ডা: মানিক সাহাকে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বচ্ছ ইমেজ সবার কাছে প্রশংসনীয়। শুধু বিজেপি লোকজন নয়, বিরোধী শিবিরের ভোটাররাও ভোট দেবেন ডা:মানিক সাহাকে। স্বাভাবিক ভাবেই বড়দোয়ালী কেন্দ্রে কোনো শক্তিই বিজেপি প্রার্থী ডা: মানিক সাহাকে পরাজিত করতে পারবে না।
রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য রামপ্রসাদ পালকে নিয়ে প্রচারের সময় মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার চোখে-মুখেও ছিলো আলোর ঝলক। কারণ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানিক সাহার নাম ঘোষণা করার পরই, সর্ব প্রথম বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন রামপ্রসাদ পাল। ক্ষোভে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে চেয়ার ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। করেছিলেন চিৎকার-চেঁচামেচি। মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের সময় অন্যান্য মন্ত্রী- বিধায়কদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নতুন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও রামপ্রসাদ পাল যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন।যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি গিয়েছিলেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে।
টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে ডা: মানিক সাহা প্রচার শুরু করলেও দেখা যায়নি মন্ত্রী রামপ্রসাদ পালকে। তানিয়া গুঞ্জন শুরু হয়েছিলো খোদ বিজেপি’র অন্দর মহলে। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার প্রচারে বেড়িয়ে সমস্ত গুঞ্জনের আবাসন ঘটিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে দেন।