ডেস্ক রিপোর্টার,১৭মার্চ।।
শেষ আর্থিক বাজেটে চমক দিলো রাজ্য সরকার। তাও আবার সরাসরি অরক্ষা দপ্তরে। রাজ্যের মেজর স্ট্রাইকিং ফোর্স টিএসআর কর্মীদের চাকরির সময় সীমা বাড়িয়ে করা হলো ৬০বছর। বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এই ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন।
রাজ্যের মেজর স্ট্রাইকিং ফোর্স টিএসআর কর্মীদের চাকরির বয়স সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যের সব কয়টি টিএসআর বাহিনীর সদর দপ্তর সহ বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেছিলেন।মুখ্যমন্ত্রী ক্যাম্প গুলিতে করেছিলেন সৈনিক সম্মেলন। তিনি টিএসআর বাহিনীর ব্যারেক থেকে রান্না ঘর এবং স্নানের ঘর থেকে শৌচালয় সবই পরিদর্শন করেছিলেন।তিনি কথা বলেছিলেন, টিএসআর বাহিনীর আধিকারিক থেকে জওয়ান সহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। ক্যাম্প পরিদর্শন কালেই মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন টিএসআর কর্মীদের বয়স বাড়ার বিষয়টি।অবশেষে পবিত্র বিধানসভায় তা বাস্তবায়িত হয়েছে।
বিধানসভা অধিবেশন থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার এই ঘোষণার পর খুশির আবহ তৈরি হয় টিএসআর কর্মীদের মধ্যে। টিএসআর জওয়ানরা ধন্যবাদ জানায় রাজ্য সরকারকে। টিএসআরের সপ্তম বাহিনীর জওয়ান রাকেশ বর্মন বলেন, “ক্যাম্প পরিদর্শন কালে মুখ্যমন্ত্রী আগাম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এখন তা বাস্তবায়িত হয়েছে।কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
টি এস আরের নবম বাহিনীর এক সুবেদার বলেন, “বিপ্লব দেবের সরকার টিএসআরের জন্য দারুন কাজ করেছে।টিএসআরের সুবেদারদের পদোন্নতি দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিলো। অবশেষে সংশ্লিষ্ট সুবেদারদের ডিএসপি পদে পদোন্নতি দিয়েছে বিজেপি সরকার।এখন বাড়িয়েছে চাকরির বয়সের সীমা। বাম সরকার ক্ষমতায় থাকলে তা কখনো ভাবা যেতো না।”
“২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে টিএসআর বাহিনীর বড় অংশের ভোট পেয়েছিলো বিজেপি।এই পরিসংখ্যান রয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। বামেদের উৎখাত করতে রাজ্যের মেজর স্ট্রাইকিং ফোর্স বড় ভূমিকা নিয়েছিলো। এই কারণেই টিএসআর বাহিনীর প্রতি কিছু করার প্রবণতা ছিলো তিএসআর বাহিনীর প্রতি। সর্বশেষে সরকার টিএসআর বাহিনীর জন্য হয়ে উঠে কল্পতরু।” বলেছেন বিজেপি’র এক শীর্ষ নেতা।
প্রসঙ্গত টিএসআর কর্মীদের চাকরিতে বয়সের সময় সীমা ছিলো ৫৫বছর।পূর্বতন বাম সরকার তা বাড়িয়ে করেছিলো ৫৭ বছর।এখন বিজেপি সরকার আরো তিন বছর বাড়িয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি টিএসআর কর্মী সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *