তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,১৮ আগস্ট।।

ভোট আসে ভোট যায়, পরিযায়ী ভোট পাখিরা নিয়ম করেই ভোট প্রথনা করেন গণ দেবতাদের কাছে। পেয়ে যান ভোটও।বসেন ক্ষমতার মসনদে।তারপর ভুলে যান তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির “পসারার কথা।”
তাই তো স্বাধীনতার এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও রাজ্যের প্রান্তিক অঞ্চলে পরিশোধিত পানীয় জল পৌঁছেনি আজও। প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী গিরিবাসীদের এখনো জলের উৎস ছড়া ও কাঁচা কুয়ো। এমন বাস্তব চিত্র পাওয়া গেল তেলিয়ামুড়ার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের নোনাছড়া এডিসি ভিলেজে। এই ভিলেজের অন্তর্গত পল্টন জয়পাড়া এবং বিগু রামপাড়া এলাকায় প্রায় ৫০টি জনজাতি পরিবারের বসবাস।
সংশ্লিষ্ট দুই গ্রামের গ্রামবাসীরা রোজ কাকভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত কাঁচা কুয়ো বা ছড়ার অপরিশোধিত জল সংগ্রহ করার কাজে ব্যস্ত থাকেন। কারণ অপরিশ্রুত জল দিয়েই জলতেষ্টা নিবারণ করতে হয় তাদের। ভোট ঘনিয়ে এলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোট পাখিরা এলাকায় পদাচারণ করে কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়েই যান। গণতন্ত্রের ভোট পাখিদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কোনো সময়েই বাস্তবে পরিণত হয় না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
সম্প্রতি ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করেছে প্রদ্যুত কিশোরের তিপ্রামথা। সরকার গঠনের পর কয়েকমাস অতিক্রম হয়ে গেছে। এডিসির কার্য নির্বাহী সদস্যরা পাহাড়ের রাস্তার ধুলো উড়িয়ে কনভয় নিয়ে ছোটাছুটি করেন।কিন্তু কেউ নজর দেননি মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের নোনাছড়া এডিসি ভিলেজের পল্টন জয়পাড়া এবং বিগু রামপাড়ায়। স্বাভাবিক ভাবেই গ্রামবাসীদের জলের সমস্যা রয়ে গেলো সেই তিমিরেই। এক প্রকার বাধ্য হয়ে গ্রামের জনজাতি অংশের মানুষ কাঁচা কুয়ো বা ছড়ার জল সংগ্রহ করেই নিবারণ করছে তাদের জলের পিপাসা।ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে জল বাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে হুঁ হুঁ করে।তাতে অবশ্যই এডিসি ও রাজ্য প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। কবে নাগাদ প্রতিশ্রুত পানীয় জল মুখে তুলতে পারবে গ্রামবাসীরা তা হয় তো বা খোদ ঈশ্বরও বলতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *