ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ ফেব্রুয়ারি।।
বড় দায়িত্ব পেলেন ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক। তাকে দেওয়া হলো সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইনচার্জের দায়িত্ব। দল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই
কলকাতায় অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সুবলকে এই গুরু দায়িত্ব সঁপে দিয়েছেন। দলের গুরু দায়িত্ব পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সুবল ভৌমিক আগরতলায় পৌঁছান।
সুবল ভৌমিক কলকাতা থেকে আসার পর মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাঁকে সংবর্ধনা দেয়।
সুবল ভৌমিক আগরতলায় এসে বলেন, “আমাকে জনসাধারণের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপারসনের কাছে কৃতজ্ঞ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা ত্রিপুরার জনগণের জন্য উদ্বিগ্ন এবং ত্রিপুরায় একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।”
সুবল ভৌমিকের বক্তব্য, উত্তর-পূর্বের ইনচার্জ হিসাবে নিযুক্ত হওয়া একটি অতিরিক্ত দায়িত্ব।দল নেত্রীর দেওয়া এই গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহবায়ক কথায়, দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘন ঘন ত্রিপুরা সফর করছেন। এবং রাজ্যের মানুষদের সাহায্য করার চেষ্টা করছেন।
শাসক দল বিজেপিকে কটাক্ষ করে সুবল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের মানুষকে বিজেপি সরকারের হাত থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছেন। প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়কের বিশ্বাস, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে সরকার গঠন করবে এবং লোকেরা শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দর মহলে প্রশ্ন, আসামের সুস্মিতা দেবকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সুবল ভৌমিকে বেছে নিলেন? তাহলে সাংসদ সুস্মিতার কাজে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্তুষ্ট নন। কারণ এক সময় ত্রিপুরায় সংগঠনকে মজবুত করতে সুস্মিতাকে ত্রিপুরায় পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
