ডেস্ক রিপোর্টার,২২মে।।
বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রীর ‘পদ’ পদত্যাগ করার পরই গেলো গেলো রব শুরু হয়ে যায় বিরোধী শিবির গুলিতে। কিন্তু দলের বিধায়ক-নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কাছে বিপ্লবের জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। তেমনি অবস্থা আম জনতার কাছেও। তাদের কাছে বিপ্লব দেবের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তার প্রমান পাওয়া গিয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিপ্লব দেবের করা জনসভাগুলিতে। মানুষ দুই হাত দিয়ে বিপ্লবকে সমর্থন করছে।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বিপ্লব কুমার দেব বলেছেন,”তিনি এখন দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করবেন।” অর্থাৎ তিনি হচ্ছে রাজ্য বিজেপি’র পরবর্তী সভাপতি। ঠারেঠুরে বিপ্লব কুমার দেব এটাই বুঝানোর চেষ্টা করেছেন।
বিজেপি’র অন্য একটা মহলের বক্তব্য,বিপ্লব দেবকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেবে না। বিপ্লবকে ২৩-র নির্বাচনের মূল প্রচারক হিসাবে ব্যবহার করবে।ব্যাস, তাহলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিলেন “বিপ্লব দেবই হলেন প্রদেশ বিজেপি’র স্ট্রাইকিং লিডার”।
বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে হুঁ হুঁ করে ববাড়ছে বিপ্লব কুমার দেবের ফলওয়ার্সের সংখ্যা। এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপিতে প্রথম সারিতে নেতাদের মধ্যে বিপ্লব দেবের টিআরপি অন্যদের তুলনায় কয়েক যোজন বেশি।
২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে বিপ্লব দেবকে সামনে রেখেই ২৫বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ছিলো বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি বিপ্লব কুমার দেবকে দেখেই মানুষ ঝুকে ছিলো বিজেপি’র দিকে। বিপ্লবের জনপ্রিয়তার সঙ্গে তৎকালীন ২৫বছরের বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও টেক্কা দিতে পারেন নি।
গোটা রাজ্য চষে ছিলেন বিপ্লব কুমার দেব। যাত্রা শুরু করেছিলেন অমরপুর থেকে।পেয়েছিলেন অগণিত মানুষের সমর্থন।তার প্রমান পাওয়া গিয়েছিলো ভোটের ফলাফলে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পরও বিপ্লব কুমার দেবের জনপ্রিয়তা আছে মাপক যন্ত্রের সর্বোচ্চ স্তরে।
রাজ্য বিজেপি’র স্ট্রাইকিং লিডার বিপ্লব কুমার দেবকে সামনে রেখেই ২৩-র ভোট যুদ্ধে নামবে বিজেপি।কারণ বিজেপিতেই জনপ্রিয়তার নিরিখে তাঁকে টেক্কা দেওয়ার মতো কোনো নেতা নেই। যারা আছেন তাদের জনপ্রিয়তা বিপ্লব থেকে অনেক পেছনে। এবং দলে বিপ্লবের বিকল্প নেই।মুর্দা কথা, বিরোধী দল গুলি টেক্কা দেওয়ার জন্য আজকের দিনেও বিপ্লব কুমার দেবই হচ্ছেন রাজনীতির ফুটবল ময়দানে গেরুয়া শিবিরের মূল স্ট্রাইকার।এমনটাই মনে করছেন রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *